পাতা:চিত্ত-বিকাশ - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্ত-বিকাশ নিত্যন্মরণীয় সেই মহাত্মা ভূতলে, কত দুঃখী প্রাণী জাল করে নিবারণ, জগতের কত হিত করে সে সাধন, সে কথা ভাবিলে প্রাণ আপনি উথলে । পরের হিতার্থ ধন না বুঝে যে ধনী, নিজ স্বার্থ চরিতার্থ সদা বাঞ্ছা করে, পরহিত ভাবে না যে মুহূর্তের তরে, সে জন জুরাত্মা অতি জগতের গ্লানি । বিধাতার বরপুত্র ধনী এ ধরাতে, দেবত হইতে পারে ইচ্ছা যদি করে, ইচ্ছা ক’রে যেতে পারে নরক ভিতরে, স্বৰ্গ-নরকের দ্বার তাহাদের হাতে । মহীতে মহীপবৃন্দ ধনীর প্রধান, দৈব ঘটনায় আজ মহীপতি তারা, আবার চক্রের গতি হলে অন্য ধারা, পশিয়া ধনিমগুলে হবে শোভমান । ধনীরাই সংসারের সুখদুঃখমূল, যে ধনী না বুঝে ইহা ভ্রান্ত পথে যায়, ধরার কণ্টক সেই, যে বুঝে ইহায়, ফুটে রয় ভবময় শোভায় অতুল – ধনবান জনবান ধরণীর ফুল । छांशतांश ভালবাসাবাসি এত পৃথিবী ভিতরে, সে তৃষ্ণ মিটে না কেন আমার অস্তরে । বাল্য হ’তে নিরস্তর খুজিয়া বেড়াই, প্রাণ জুড়াবার সখা তবু নাহি পাই । ○"