পাতা:চিত্ত-মুকুর.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৵৹

পুস্তকাকারে প্রকাশ করিবার উদ্দেশ্যে ইহার কোন কবিতাই লিখিত হয় নাই। বন্ধুবর্গের প্রশংসাবাদে—এ প্রশংসা তাঁহাদের স্নেহবশতই হউক কিম্বা উৎসাহ দিবার জন্যই হউক—গ্রন্থকার সাধারণ সমীপে কবিতা গুলি প্রকাশ করিতে সাহসী হইল। যখন সাধারণের নিকট গ্রন্থকার বলিয়া পরিচয় দিতে হইতেছে তখন যশের কথাটি সর্ব্বাগ্রে স্মরণ করিতে হইবে। কিন্তু বঙ্গীয় কবির যশ বড় দুর্লভ, বিশেষ যে সাহিত্যক্ষেত্রে ভারতচন্দ্র ও মধু সুদন দত্ত প্রভৃতি মহাত্মার কবিতার কুহক ছড়াইয়া গিয়াছেন, সে সাহিত্য ক্ষেত্রে এ গ্রন্থকারের যশের আশা কতটুকু! পাছে সমালোচক দিগের লেখনি প্রহারে চিরকলঙ্কিত হইতে হয় গ্রন্থকারের সেইটিই প্রধান ভয়, কিন্তু লোকে যাহাই বলুক চিত্তের স্বাভাবিক গতি দুর্দ্দমনীয়া।

 কেহ যদি গ্রন্থকারকে জিজ্ঞাসা করেন যে “পাঠক দিগকে এ নরক যন্ত্রনা দেওয়া কেন,” গ্রন্থকার তাঁহাকে এই উত্তর করিবে যে ইহা তাহার অনিচ্ছাকৃত অপরাধ। চিত্রমুকুর সম্বন্ধে গ্রন্থকারের আর অধিক বক্তব্য নাই কেবল এই পর্য্যন্ত যে চিত্তমুকুর তাহার প্রথম উদ্যম।

 উপসংহার কালে শ্রদ্ধাস্পদ বান্ধব সম্পাদক বাবু কালী প্রসন্ন ঘোষ ও প্রসিদ্ধ কবি বাবু নবীন চন্দ্র সেনকে ধন্যবাদ না দিলে অকৃতজ্ঞ হইতে হয়। চিত্তমুকুরের যদি কিছু সম্পত্তি থাকে তবে তাহা তাঁহাদেরই উৎসাহে ইহার অধিক আর বলিবার নাই।

গ্রন্থকারস্য