נ ס\ L হইল, তখন ইহা একটা প্রকাগু বৰ্ত্তল ভিন্ন আর কি আকারের হইতে পারে ? জ্যোতিৰ্ব্বিদের স প্রমণ করিয়াছেন যে, চন্দ্র নিজে জ্যোতিৰ্ম্ময় নহে, কেবল স্বৰ্য্যকিরণের অনুপ্রবেশ হেতু আলোকময় দেখায় ; যখন পৃথিবীর ছায়া পড়িয়া স্থৰ্যকিরণের সেই অনুপ্রবেশ রোধ করে, তখনই চন্দ্রগ্রহণের উৎপত্তি হয় । সকলেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন গ্রহণ সময়ে পৃথিবীর ছায়া দ্বারা চন্দ্রের যত দূর আচ্ছন্ন হয়, সেই অংশ সৰ্ব্বদাই গোলাকার । পৃথিবী গোলাকার না হইলে ঐ অংশ সৰ্ব্বদা গোলাকার দেখাইভ না । কারণ গোল ভিন্ন অন্য আকারের বস্তুর ছায়া সৰ্ব্বদা গেtলাকার হয় না । ভূতলের যে কোন স্থল হইতে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর চতুর্দিক গোলাকার দেখায়, পৃথিবীর গোলত্বই এরূপ গোলাকার দেখাইবার একমাত্র কারণ । কেননা কোন বর্তুলাকার বস্তু যত্রেচ্ছ কাটিয়া দুই খণ্ড করিলে উভয় খণ্ডেরই ছেদমুখ নিয়ত মণ্ডলাকার হয় । বৰ্ত্তল ভিন্ন অন্য আকারের বস্তু যত্রেছ দ্বিধা ছেদ করিলে নিয়ত সেরূপ মণ্ডলাকার খণ্ড পাওয়া যায় না । ভূভলের যেখানে আমাদের দৃষ্টিরোধ হইতেছে, সেই খানেই যে পুথিবী শেষ হইয়াছে এমন কেহই মনে করেন না, পৃথিবী তাহার অপর দিকেও অসীমবৎ বিস্তীর্ণ রহিয়াছে । কিন্তু আমাদের দৃষ্টিব্যাপিক রেখা চতুর্দিকে সেই সকল স্থানকে আমাদের হইতে বিচ্ছেদ করিতেছে। ফলতঃ দৃষ্টিব্যাপিক রেখা পৃথিবীকে দ্বিধা চ্ছেদ করিতেছে ; তন্মধ্যে যে খগু আমাদের দুষ্ট হয়,
পাতা:চীনের ইতিহাস (কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/১৪
অবয়ব