পাতা:চীবর - বঙ্গিমচন্দ্র মিত্র.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চীবর। পবন কম্পিত করি” কম্পিত তন্ত্রীর স্বর, হৃদয়ের তাল হ’তে ঝরাইছে নিরকার ; যে রবে তন্ত্রীর স্বর পবনে পবনে আসে, সেই রবে কুলুকুলু করিয়া হৃদয় ভাসে। “কে তুমি আপনহারা কান্দিছ আপনি তারে ? দেখ, কে বসিয়া আছে জগতে আপন ক’রে । সবাই যাহার পর, সে যে তার ও) আপনার ; হৃদয়ে রয়েছে ধরা, সে ত নহে হারাবার { সবাই ছাড়িয়া গেলে, সে যে তবু কাছে থাকে ; যারে কেহ নাকি ডাকে, সে অাদরে ডাকে তাকে ; দেখ আর নাহি দেখ, সে জাগিছে। ওই প্ৰাণে ; তুমি অ’ ভুলিতে পাের, সে ভুলিতে নাহি জানে। সে যে মাতৃবাক্ষ তব, পীযুষের পারাবার , জননীর কণ্ঠ ধ্বনি, মুখরিত অনিবার ; সে যে মাতৃ-বাহু-লতা, শত সূক্ষ্ম তন্তু দিয়া, অজ্ঞাতে সকল দিকে আছে তোমা জড়াইয়া । আনন্দে যখন ধরা আলোক-প্রতিমা প্রায়, তখন বাহারে প্রাণ আনন্দ জানাতে চায় ; বিষাদে যখন ধরা ঢাকা পড়ে কালিমায়, তখন যাহার কোলে হৃদয় লুকাতে চায় ;