পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান। を পূর্ণ পুলকিতান্তঃকরণে রমণীয় যৌবন লীলা দ্বারা অবিচ্ছেদে পরম হুখে কালযাপন করেন। অনেক বৎসর পর্য্যন্ত সেই প্রকার সম্প্রীতি সহকারে আহলাদ আমোদের সহিত নিরুদ্বেগে অতুল ঐশ্বৰ্য্য স্থখসম্ভোগ দ্বারা ক্রমে ক্রমে যৌবনকাল অতীত হইতে আরম্ভ হইলে বাৰ্দ্ধক্যাবস্থা নিকটাগত জানিয়া একদা নির্জনোপবিষ্ট সেই রাজমহিষী চুড়ালার মনোমধ্যে অকস্মাৎ এই প্রকার বৈরাগ্যভাবের উদয় হইল যে, “হায় রুক্তমাংসাস্থিময় অনিত্য জড় যে এই পাঞ্চভৌতিক শরীর, ইহার প্রতি মমতা করিয়া পরিণামে লোকে কি পৰ্য্যন্ত দুঃখ প্রাপ্ত না হয়। যাহা পূর্বে কিছুই ছিল না, এবং পরেও থাকিবে না, মধ্যে হইতে কেবল অল্পকালের নিমিত্ত উৎপন্ন হইয়। পরে বিনাশ প্রাপ্ত হয়। এমত অনিশ্চিত অস্থায়ী ক্ষণভঙ্গুর দেহের প্রতি আস্থা ও যত্ন করিয়া নানা কৰ্ম্মসূত্রে বদ্ধ হইয়া অজ্ঞান মূর্থ লোক সকল মিথ্যা কষ্টভোগ করে মাত্র। এই দেহ প্রথমে কিছুই ছিল না, পরে পিতামাতার কামানুযায়ী প্রারব্ধ নিবন্ধন শোণিত ও শুক্রযোগে রক্ত ক্লেদ নাড়ী কৃমি কীটাদিবেষ্টিত মল মুত্র পরিপূরিত অশুচি সাক্ষাৎ নরকস্বরূপ ভয়ানক অন্ধকারময় গৰ্ত্তকারাগার মধ্যে ইহার উৎপত্তি হয়। পরে সেই স্থানে ক্রমে ক্রমে হস্তপদাদি সৰ্ব্বাবয়ব সম্পন্ন হইয়া নিয়মিত কালানুসারে ভূমিষ্ঠ হইলে জনকজননীর আনন্দের আর পরিসীমা থাকে