পাতা:চ্যারিটি শো - বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম দৃশ্য >○ সহানুভূতি না পাই, তাহলে বাংলা দেশের কি তুর্দিন আসবে, ত৷ একবার ভেবেচ কি, বন্ধু ? দেশের লোকের সহানুভূতি না পেয়েই ঢাকাই মসলীন গিয়েছে, বাংলার বস্ত্রশিল্প লুপ্ত হয়েছে, বাংলার আল্পনাশিল্প, সূচিশিল্প, খাগড়ার বাসন-শিল্প, কৃষ্ণনগরের পুতুল-শিল্প, পূর্ববঙ্গের র্কাথা ও শুজুনি-শিল্প, মুর্শিদাবাদের রেশমশিল্প, নবদ্বীপের টোল, মালদহের আম, সাৎরাগাছির ওল, পদ্মার ইলিশ, কাটোয়ার ডাটা—সব বিলুপ্ত হয়েচে । এইবার বাংলার স্বপ্রাচীন সঙ্গীত ও নৃত্যকলাও যেতে বসেচে ! ভাই সব, তাকে ধরে রাখতেই হবে। সঙ্গীত আর মৃত্য গেলে, পৃথিবীর ইতিহাস থেকে বাঙ্গালীর নামও অবলুপ্ত হয়ে যাবে। বাঙালী আর বাঙ্গালী থাকবে না। কিন্তু বাঙ্গালীকে বঁাচতে হবে । এই কম্পিটিশনের যুগে, বাঙ্গালীকে বাচতে হবে। সমাসন্ন মহাপ্রলয়ের এই ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে, তাই আজ জেগেছে নটরাজের এই নাটমগুপ— প্রে । রক্ষে কর ভাই, রাধারমণ, রক্ষে কর—দোহাই তোমার, তুমি বক্তৃতা বন্ধ কর। এটা শ্রদ্ধানন্দ বা দেশবন্ধু পার্ক নয়, গরীবের কুটার। ঘরে বাইরে আর বক্তৃতা সহ হয় না। ঘরে বক্তৃতা শুনতে নারাজ বলে, বিয়ে পৰ্য্যস্ত করলাম না। তুমি বক্তৃতা থামাও, ভাই, আমি পাচশো টাকাই দেবো। বাপযখন চিল পড়েচে, তখন কুটোটা না নিয়ে সে যে উঠবে না, এ আমি বহুক্ষণ পূর্বেই অনুমান করেচি। রাধা । ( কিছুমাত্র অপ্রতিত না হইয়া আর একখানা খাতা খুলিয়া