পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন দেবতা দানব মহাপণ্ডিত মহাপুরুষ কারো রামায়ণ রচনার সাধ্য হয় নি কেন রত্নাকর ছাড়া, এ রহস্য আমার কাছে তো গোপন নেই। নোবেল-প্ৰাইজ পাবার পর দেশ রবীন্দ্ৰনাথকে সম্মান জানাতে গেলে রবীন্দ্ৰনাথ কেন সে সম্মানকে ঠিকমত অসম্মান করেছিলেন, পনের ষোল বছর বয়সেই আমি তো তা অনুভব করেছিলাম। আমি তাই একদিকে যেমন প্ৰাণপাত করে কবিতা লিখেছি। অন্যদিকে তেমনি প্ৰাণপাত করে চেষ্টা করেছি দেশের মানুষ যাতে আমার কবিতা পড়ে । মানুষকে আমার কবিতা পড়াব- মানুষ পড়ে স্থির করবে। আমার কবিতা কোন দরের। দৃঢ়ভাবে এই নীতি মেনে চলেছি বলে বিবেক আমাকে কখনো কামড়ায় নি, সস্তা আত্মপ্রচার হতে দিই নি বলে নিজের কাছে নিজেও আমি সস্তা হয়ে যাই নি । অনেকে অবশ্য মনে করেছে অনেক রকম। কিন্তু মানুষের ভুল বোঝার আতঙ্কে বিচলিত হয়ে ভুল করার ধাত द्र । । মানসী পৰ্যন্ত বলেছে, তোমার সত্যি লজ্জাসরাম নেই। বড় বেহায়া তুমি! আমি বলেছি, কবি হওয়া কি অপরাধ যে লজ্জায়। কঁচুমাচু করব ? নিজেকে লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াব ?