ডাক্তার সহাস্যবদনে উত্তর করিলেন, “তিনি বলিতেছিলেন, যে প্রিয়বাবু যখন আমাদের বাড়ীতে আসিয়াছেন, তখন আহার না করিয়া তিনি যেন না যান।”
আমিও হাসিয়া বলিলাম, “তোমার স্ত্রীর হাতের রন্ধন আমারও খাইবার ইচ্ছা হইয়াছে। অনেক দিন ও কাজ হয় নাই। কি করিব, আজ আমায় মাপ কর। কাল তাঁহার অতিথি হইব। তিনি যে আমায় এখনও মনে রাখিয়াছেন, সেই আমার পরম সৌভাগ্য।”
ডাক্তার আমর কথায় কিছু বিমর্ষ হইলেন। তিনি ভৃত্যকে আমার জন্য একখানা গাড়ী আনিতে বলিলেন।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/62/Rule_Segment_-_Wave_-_40px.svg/40px-Rule_Segment_-_Wave_-_40px.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/c/c2/Rule_Segment_-_Diamond_-_10px.svg/11px-Rule_Segment_-_Diamond_-_10px.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/62/Rule_Segment_-_Wave_-_40px.svg/40px-Rule_Segment_-_Wave_-_40px.svg.png)
যখন আমি বাসার দ্বারে উপনীত হইলাম, তথন ঘড়ীতে দশটা বাজিল। গাড়োয়ানকে ভাড়া দিয়া বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করিতে উদ্যত হইব, এমন সময়ে কে যেন আমার পশ্চাতে আসিয়া বলিল, “মহাশয়! আচ্ছা খেলা খেলেছেন। কিন্ত আমায় ঠকাইতে পারিলেন না। ইচ্ছা করিলে যাহার জন্য় আপনি এত চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা লইয়াই পলায়ন করিতে পারিতাম।”
কণ্ঠস্বর ও কথাগুলি শুনিয়া আমি চমকিত হইলাম। ফিরিয়া দেখি একখানি গাড়ী আমার পার্শ্ব দিয়া বেগে চলিয়া গেল।