লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘুমন্ত নিস্তব্ধ
বিরাট ব্যাপ্ত হিমালয়ের বুক॥
(‘কাশ্মীর’ কবিতাটি প্রথমে পদ্যছন্দেই লেখা হয়। কিন্তু পদ্যছন্দে বক্তব্য যথেষ্ট জোরালো হয়ে ওঠেনি মনে ক’রে কবিতাটিকে পরে গদ্যে লেখা হয়। ‘ছাড়পত্রে’র প্রথম সংস্করণে কবি নিজে বাছাই করার সময় পদ্যে-লেখা কবিতাটি বাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের ভাল লাগায় দ্বিতীয় সংস্করণে আমরা পদ্যে-লেখা ‘কাশ্মীর’ কবিতাটিও এর সঙ্গে জুড়ে দিলাম।—সু. মু.)
(২)
দম-আটকানাে কুয়াশা তাে আর নেই
নেই আর সেই বিশ্রী তুষার-বৃষ্টি,
সূর্য ছুঁয়েছে ভূস্বর্গ চঞ্চল,
সহসা জেগেই চমকে উঠেছে দৃষ্টি।
দু’হাতে তুষার-পর্দা সরিয়ে ফেলে
হঠাৎ হলদে পাতাকে দিয়েছে উড়িয়ে,
রােদকে ডেকেছে নন্দনবন পৃথিবীর
বৈশাখী ঝড় দিয়েছে বরফ গুঁড়িয়ে।
সুন্দর মুখ কঠোর ক’রেছে কাশ্মীর—
তীক্ষ্ণ চাহনি সূর্যের উত্তাপে,
গলিত বরফে জীবনের স্পন্দন
শ্যামল মাটির স্পর্শে ও আজ কাঁপে।
সাগর-বাতাসে উড়ছে আজ ওর চুল
শাল দেবদারু পাইনের বনে ক্ষোভ,
ঝড়ের পক্ষে চূড়ান্ত সম্মতি—
কাশ্মীর নয়, জমাট বাঁধা বরফ।