পাতা:ছায়া-বিজ্ঞান - মন্মথনাথ চক্রবর্তী.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ছায়া-বিজ্ঞান

 গ্রাফি শিক্ষার দ্বিতীয় পুস্তক।)

দৃষ্টি-বিজ্ঞানাংশ ।

"অালোকচিত্রে” বলিয়াছি “অালোক এবং কতিপয় রাসায়নিক দ্রব্যের পরস্পর সংমিশ্রণে বা সাহায্যে পদার্থের অনুরূপ প্রতিকৃতি গ্রহণ করাই ফটোগ্রাফি বা অালোকচিত্রন।” অালোকই যে অালোকচিত্রের নিদান, তাহা বোধ হয় বেশ হৃদয়ঙ্গম করিয়াছ। কিন্তু এই নিদান স্বরুপ আলোক যে কি পদার্থ তাহার কি কিছু অবগত আছ?

অালোক,—যেমন আলোকচিত্রের নিদান আলোক, তেমনি অালোকেরও বহুবিধ নিদান আছে। সূর্য্য, তেজ, রাসায়নিক প্রক্রিয়াদি নানাবিধ মূল হইতে আলোক প্রকাশ হয়; উহাদিগকে আলোকময় পদার্থ কহে।

চক্ষুর যে শক্তির প্রভাবে আমাদের দর্শন জ্ঞান উৎপাদন করে বা যে শক্তির প্রভাবে আমরা বহির্বস্তু দেখিতে পাই তাহারই নাম আলোক। সূর্য্যালোকই আলোকচিত্রের নিদান; কিন্তু সূর্য্য যে কি প্রকারে অালোক প্রদান করিতেছে, তাহা কেহই ঠিক বলিতে পারেন না বা অদ্যাবধি উহার শেষ মীমাংসা হয় নাই।