পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢ २ ) যেন কে ঠাট্টা করে বলে যাচ্ছিল—এইবার পেট ভরে হাওয়া খেয়ে নাও, তারপরে সাধ মিট্‌লে কিঞ্চিৎ জল খাওয়াব—তাতে এমনি পেট ভরবে যে ভবিষ্যতে আর কিছু খেতে হবে না । আমরা কি না প্রকৃতির নাতি সম্পর্ক, তাই তিনি মধ্যেমধ্যে এইরকম একটু আধটু তামাস করে থাকেন । আমি ত পূর্বেই বলেছি জীবনটা একটা গম্ভীর বিদ্রুপ, এর মজাটা বোঝা একটু শক্ত—কারণ, যাকে নিয়ে মজা করা হয়, মজার রসটা সে তেমন গ্রহণ করতে পারে না । এই মনে কর, দুপুর রাত্রে থাটে শুয়ে আছি, হঠাৎ পৃথিবীটা ধরে এমনি নাড়া দিলে যে কে কোথায় পালাবে পথ পায় না—মৎলবট খুব নতুন রকমের এবং মজাটা খুব আকস্মিক তার আর সন্দেহ নেই—বড় বড় সম্রাস্ত ভদ্রলোকদের অৰ্দ্ধেক রাত্রে উর্দ্ধশ্বাসে অসন্থত অবস্থায় বিছানার বাইরে দৌড় করানো কি কম কৌতুক ! এবং দুটাে একটা সদ্যনিদ্রোথিত হতবুদ্ধি নিরীহ লোকের মাথার উপরে বাড়ির আস্ত ছাতটা ভেঙে আনা কি কম ঠাট্ট ! হতভাগ্য লোকট যেদিন ব্যাঙ্কে চেক্ লিখে রাজমিস্ত্রির বিল শোধ করছিল, রহস্যপ্রিয়। প্রকৃতি সেইদিন বসে বসে কত হেসেছিল ।