পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না ; কারণ, তাহার ছোটকাকা বা ছোটকাকী তাহার জন্য কোনও প্ৰকার জলখাবারের বন্দোবস্ত করিয়া দেন নাই। দুইতিন দিন দেখিয়া হরেকৃষ্ণ নিজ হইতে রোজ অমরকে দুইটি করিয়া পয়সা দিয়া যাইত, অমর তাহারই দ্বারা জল খাইয়া ক্ষুধানিবৃত্তি করিত। অমরের উপর হরেকৃষ্ণের বড়ই স্নেহ হইয়াছিল । গরীবের দুঃখ গরীবেই বুঝে ! অমর আজ বাড়ীর ভিতর যাইয়া কাকীমাকে বলিল, “কাকীমা, আজ তিনদিন আমাকে স্কুলে যাইয়া এক ঘণ্টা করিয়া দাড়াইয়া, থাকিতে হয় ; আমার রোজই লেট ( late ) হয় ।” “লেট হয়, তার আমি কি করবো ?” “আপনি যদি ঠাকুরকে একটু বোলে দেন, তা হ’লে সে আর একটু সকালে ভাত দিতে পারে।” “সে সব হবে-টবে না । তোমার জন্য আবার সকালে কে ভাত রাধতে যাবে ? সকলে যেমন খায়, তেমনি খেয়ে থাকতে পার থাক, না পার দেশে চলে যাও । ঠাকুরপুত্র আর কি !” অমর আর কথা কহিতে পারিল না ; সে কঁাদিয়া ফেলিল । অপরাহুে হরেকৃষ্ণ বাসায় আসিলে অমর তাহাকে সকল কথা বলিল। হরেকৃষ্ণ লেখাপড়া সামান্যই জানে, কিন্তু তাহার হৃদয় বড়ই কোমল । সে অমরের কথা শুনিয়া সত্যসত্যই কাদিয়া ফেলিল । তাহার চক্ষে জল দেখিয়া অমর ও কঁাদিতে লাগিল । শেষে হরেকৃষ্ণ বলিল, “কেঁদো না ভাই ; কষ্ট না DBB D BBBDu DDD S S DBDuBuBD BD DDD S SBSDB Ve )