পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যার পর কমলাকান্ত ইন্দু বাবুকে আদ্যোপান্ত সকল কথা খুলিয়া বলিলেন। অবশেষে বলিলেন, “আমার কথায় হতামসুন্দর, আপনার শ্বশুর এবং বৌঠাকুরাণী অত্যন্ত অপমানবোধ করিয়াছেন ; কিন্তু তঁহাদের মনে আঘাত দেওয়ার দুরভিসন্ধি আমার কিছুমাত্র ছিল না । পুষ্করিণীর মাছ থাকাতে আমার কিছুমাত্র স্বাৰ্থ নাই। আপনার সুনাম এবং স্বার্থের দিকে আমার দৃষ্টি না থাকিলে আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকিতাম। বৌঠাকুরাণীর বিশ্বাস, আমি তঁহারই সৰ্ব্বনাশ করিতেছি। আপনি পিতৃতুল্য, চিরকাল আমাকে প্ৰতিপালন করিয়া আসিতেছেন ; কিন্তু আমার আশঙ্কা হইতেছে, আমি এখানে থাকিলে ক্ৰমে আপনাদের মানসিক শান্তি বিনষ্ট হইবে । মানুষেয় মনকে বিশ্বাস করিতে নাই। কালে আমাদের পারিবারিক প্রীতিবন্ধন ও শিথিল হইতে পারে। সে দুর্দিন আসি- , বার পূর্বেই আমি এখান হইতে বিদায় হইতে ইচ্ছা করি । বিশেষ চেষ্টা করিলে অন্যত্র একটা চাকরী যোটানি তেমন কঠিন হইবে না।” এই কথা শুনিয়া ইন্দু বাবুর চক্ষু অশ্রুপুর্ণ হইয়া উঠিল। তিনি বলিলেন, “ভাই, সামান্য কথায় তোমার এরূপ বিচলিত হওয়া উচিত নয়, পৃথিবীতে মানুষকে অনেক সহ্যু করিতে হয় । তোমার কথা শুনিয়া আমি মনে বড় বেদন পাইলাম । যাহাতে ভবিষ্যতে আর কোন গোল না হয়, আমি তাহার উপায় করিব।” রাত্ৰে আহারাদির পর ইন্দু বাবু শ্যামসুন্দরকে বলিলেন, “তুমি এখানে আসার পর হইতে আমাদের পরিবারের মধ্যে খানিকটে অশাস্তি প্ৰবেশ করিয়াছে। তুমি কুটুম্ব, এখানে আসিয়াছ, যতদিন S RR