পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গতই বটে ; তিনি একটী সাবডিবিজানের হৰ্ত্তাকর্তা বিধাতা —মহারাণী ভারতেশ্বরীর প্রতিনিধি, আর আমি মধুখালী নামক ক্ষুদ্রপল্লীর সামান্য শিক্ষক, অশিক্ষিত, অবজ্ঞাত অভদ্র।--সামান্য স্কুলমাষ্টার কি ডিপুটির দাদা হইতে পারে না ? যাহা হউক, পরে জানিতে পারিলাম, শশী যে অপাত্রে দানের সুবিধা পান নাই সে কথা সত্য ; কারণ বধুমাতার ইচ্ছা তঁহার কনিষ্ঠা-সহোদরা কনকমঞ্জরীর বিবাহে তাহাকে একজোড় হীরার বাংলা উপহার প্রদানপূর্বক পিতৃগৃহে প্ৰশংসা লাভ করেন। সে জন্য শ্ৰীমানের দুইমাসের বেতন “হামিলটন’ কোম্পানীর তহবিলজাত হইয়াছে। এ অবস্থার সকলেই শশীর নিঃস্বাৰ্থ দানবত্তার প্ৰশংসা করিবেন, সন্দেহ কি ? আমার অভিমানিনী পত্নী শশীর সেই প্ৰথম ও শেষ দান গ্ৰহণ করিলেন না । সুপ্রিভার বিবাহ আজও দিতে পারি নাই। এখন কেবল ভগবানের করুণায় বিশ্বাস করিয়া বসিয়া আছি । তিনিই নিরাশ্ৰয়ের আশ্রয় !