পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতে পারিব না ; আমার সাধ্য নাই যে, সেই নিরাশ্রয়া অবলী গণের অসহায় মলিন মুখের কথা বলি। তাহদের সেই অশ্রুকাতর দৃষ্টি, হৃদয়ভেদী ক্ৰন্দন, সেই মৃত্যু গ্ৰাস হইতে অব্যাহতি পাইবার জন্য অস্তিম-চেষ্টা, শেষ বলপ্রকাশ-এ দৃশ্য বর্ণনার বিষয় নহে। পিশাচের ভাষা পাইলে, অসুরের মত হৃদয় পাইলে, আর কৌলীন্য- , অন্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় হইলে বুঝি সব কথা,-যেটি যেমন হইয়াছিল, তাহা বলিতে পারিতাম। অশীতি-বৎসরের কুমারী হইতে আরম্ভ করিয়া সাড়ে তিন বৎসরের বালিকা, এই রকম এগারটি মেয়ে সভাস্থলে, শ্মশানভূমিতে আনীত হইল। একটি সপ্তদশবর্ষীয়া সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী যুবতীর করুণক্ৰন্দনে হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল । একবার মনে হইল যাহা হইবার হইবে, এই অসহায়া কুমারী:দিগকে জোরে ছাড়াইয়া লইয়া যাই ; শেষে না হয় তাহাদিগকে পদ্মার খরস্রোতে ভাসাইয়া দিব ; তাহা হইলেও তাহারা শান্তি পাইবে। পাঠক ! এ দৃপ্ত আর দেখিয়া কাজ নাই। N, B,-এই বিবাহের দেড়মাস পরেই সেই বৃদ্ধটি ধরাধাম ত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন। তঁহার বিবাহ এই এগারটি লইয়া মোট ছত্রিশটি । or এ অত্যাচারের কি বিচার নাই ? কবির কথায় বলিতে ইচ্ছা! マーびーー “এপারে। ইহার হোল না বিচার, হয় যদি পর্যাপারে।” murumunusunnus tyly )