נ צל E ষষ্ঠ অধ্যায় । আর্য্যবংশের বিস্তার । আর্য্যবংশ মানবজাতির একটা প্রধান বিভাগ। পারসীকেরা এই আর্যবংশজাত ; মৈসর, ফিনিসীয় ও আসিরায়ের এই বংশসভূত নহে। এক দিকে ছিন্দুজাতি এবং অপর দিকে জাৰ্ম্মনজাতি এই বংশের অন্তর্ভূত বলিয়া ইহার আর একটা নাম ইণ্ড-জাৰ্ম্মনিক। ইংরাজেরা জাৰ্ম্মন জাতির একটা শাখ মাত্র, সুতরাং ছিন্দু এবং ইংরাজের এক বংশ হইতে উৎপন্ন। পারস্যের উত্তরাদ্ধকে আৰ্য্য বলিত। এই প্রদেশে বাস করিতেন বলিয়৷ ই হারা আর্য নামে বিখ্যাত ছন । আর্য্যবংশ দ্বিধা বিভক্ত হইয়া এক অংশ ভারতবর্ষ এবং অপর অংশ ইউরোপ অধিকার করে। আর্য্যবংশসম্ভূত সকল জাতিরই আকৃতিসাদৃশ্য আছে; ইহাদের ভাষার অনেক কথাই প্রায় এক ; ভাষার ব্যাকরণ গুলিও প্রায় এক রূপ । ইহাদিগের পরিবারিক জীবন এবং শাসনপ্রাণালীতেও অনেক সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। এই সকল সম্বন্ধে আর্যের নিগ্রেী ও চীনপ্রভৃতি অন্যান্য মানববিভাগ হইতে সৰ্ব্বপ্রকারে বিভিন্ন ছিলেন। আর্যেরা যখন ভিন্ন ২ দেশে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িলেন তাছাদের ক্ষমতার হ্রাস না হইয়া বরং বৃদ্ধি হইতে লাগিল। সৌভাগ্যবশতঃ তাছাদের চেষ্টা সৰ্ব্বত্রই সুফলপ্রসবিনী হুইয়াছিল এবং তাছাদের জয়স্রোতঃ প্রতিরোধ করিতে কেহই সমর্থ হয় নাই। তাছার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ভূমি সকল অধিকার করিয়া আদিমঅধিবাসীদিগকে পৰ্ব্বতে ও দেশের প্রান্তভাগে তাড়িত করিতেন । ভারতবর্ষে হিন্দু আর্যের উর্বর সমতল ক্ষেত্র সকল অধিকার করিয়াছিলেন। পশ্চিম বাঙ্গালার কোল ও ভীলেরা এবং নীলগিরিস্থ টোডার তাড়িত হইয়া পৰ্ব্বত ও বনে বাস করিতে বাধ্য হুইয়াছিল। ইউরোপেও আর্যের প্রায় সমস্ত মহাদেশটা অধিকার করিয়াছেন। আদিমঅধিবাসীদিগের অবশিষ্টাংশ উত্তরে লাপলাও এবং দক্ষিণে পিরিনিস পৰ্ব্বতশ্রেণীতে দৃষ্ট হয়। আর্য্যদিগের নূতন ২ দল মাতৃভূমি পরিত্যাগ পূর্বক ক্রমেই পশ্চিম ও পূর্বদিকে যাত্রা করিয়া পুৰ্ব্বোপনিবেশিত আৰ্যদিগকে সম্মুখে তাড়িত করিয়াছিলেন। জার্মন আর্যের সেন্টিক আর্যদিগের পর ইউরোপে প্রবেশ করিয়া সেন্টিকদলকে ইউরোপের পশ্চিম প্রাম্ভে তাড়িত করিয়াছিলেন। এক্ষণে সেন্টের পর্তুগাল, পশ্চিমফ্ৰান্স, আয়লাও, ওয়েলস, এবং পশ্চিমস্কটলাও অধিকার করিয়া আছে। ভারতবর্ষেও প্রাচীন হিন্দু আর্যের পারস্য ও আফগানিস্থান হইতে আগত নূতন ২ আৰ্য্যদল কর্তৃক ব্যৱস্থায় আক্রাও ইয়াছিলেন ,আৰ্য্যের যখন সৰ্ব্ব প্রথমে পারস্য দেশ পরিত্যাগ করেন তখন প্রাচীনতম ইতিহাসও রচিত ছয় নাই। ৩••• পু খ. অঙ্গে
