পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &b J দ্বীপ হইতে অনেকাংশে নিকৃষ্ট। নেপোলিয়ন মৃত্যুপৰ্য্যন্ত এই দ্বীপে বন্দীরূপে মাবদ্ধ ছিলেন। ইংলণ্ডের চিরশত্রু মহানু নেপোলিয়নের ঈদৃশ পরিণামে এই মহাযুদ্ধের পর্যাবসান হইল। ইংরাজের এই যুদ্ধকে মহা ফরাসি যুদ্ধ বলেন। অষ্টাবি-২শ অধ্যায় । বিয়ানার সাধারণ-শান্তি । ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে নেপোলিয়ন বন্দী হইলে পর ইউরোপের অন্যান্য জাতির বিয়ানার মহাসভায় সম্মিলিত হইয়। সাধারণ-শান্তি সংস্থাপন করিবার উদ্যোগ করিলেন। কিন্তু সকল বিষয় স্থির হইতে অনেক দিন লাগিয়াছিল, কারণ নেপোলিয়ন রুসিয়া এবং তুরুষ্ক ব্যতীত ইউরোপের সকল দেশ জয় করিয়া দেশের সীমাচিহ্নগুলি লোপ করিয়াছিলেন, স্বতরাং এক্ষণে ঐ সকল সীমা নির্ণয় করা মহাসভার পক্ষে দুষ্কর হইয়া উঠিল। এই সাধারণ-শান্তি ইউরোপে ৪০ বৎসরের অধিক স্থায়ী হয় ; এবং এই মহাসভায় দেশসমূহের যে সকল সীমা নির্দিষ্ট ছয় তাহা গত দশ বা পনর বৎসরের পূর্ব পর্য্যন্ত পরিবর্তিত হয় নাই। এই মহাসভায় নিমুলিখিত বিষয়গুলি স্থিরীকৃত হয় :– ১ম। ফরাসি-বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সের যে আয়তন ছিল প্রায় তাহাই রছিল। কান্সের বর্তমান মানচিত্রে তাহার কিছু পরিবর্তন দৃষ্ট হয় না । প্রাচীনরাজবংশসম্ভূত এক ব্যক্তি পুনর্বার রাজপদে অভিষিক্ত হইলেন। হানোবারের রাজা জর্জ ষে নিয়মে ইংলণ্ডের সিংহাসন প্রাপ্ত হন, ইছাকেও প্রায় সেই সকল নিয়ম স্বীকার করিতে হইল ; অর্থাৎ তিনি সাধারণ-সভায় সমবেত প্রজা-প্রতিনিধিগণের মত না লইয়া কর নিৰ্দ্ধারণ ও রাজস্ব ব্যয় করিতে পারিবেন না । বস্তুতঃ ফরাসির ইংরাজদিগের শাসনপ্রণালী অনেকট অনুকরণ করিতে চেষ্টা করিলেন। ২য়। ফরাসি-বিপ্লবের পূৰ্ব্বে জাৰ্ম্মণির যে অবস্থা ছিল তাছাই রছিল ; অর্থাৎ অষ্ট্রিয় ও প্রসিয়া এই দুই বৃহৎ রাজ্য এবং আরও কতকগুলি ক্ষুদ্র ২ রাজ্য ইহার অন্তর্ভুক্ত হইল। ইতালির প্রায় অর্ধেক অষ্ট্রিয়ার হস্তে সমৰ্পিত হইল ; কিন্তু প্রসিয়ার আয়তনের কিছুই পরিবর্তন ছইল না । ৩য়। ফরাসি-বিপ্লবের পূৰ্ব্বে ইতালির যে অবস্থা ছিল তাছার প্রায় কিছুই পরিবর্ত্তন হইল না ; অর্থাৎ এই দেশটা কতিপয় ক্ষুদ্র ২ রাজ্যে বিভক্ত রছিল, এবং ইহাদের অৰ্দ্ধেকগুলি অষ্ট্রিয়ার অধীন হইল । ৪র্থ। ইংরাজের এই যুদ্ধে অনেকগুলি দ্বীপ ও উপনিবেশ জয় করিয়াছিলেন ; কিন্তু শান্তি সংস্থাপিত হইলে পর তাহার স্বেচ্ছায় এই সকল স্থান পূৰ্ব্বতন!