জগন্নাথের রথ আংশিকভাবে সঙ্কীর্ণক্ষেত্রে সংঘস্থাপনের নিস্ফল চেষ্টা কতবার হইয়াছে, হয় তাহা বুদ্ধিগত চিন্তার প্রেরণায়—যেমন পাশ্চাত্যদেশে, নয় নির্বাণোন্মুখ কৰ্ম্মবিরতির স্বচছন্দ অনুশীলনার্থে—যেমন বৌদ্ধদের, নয় বা ভাগবত ভাবের আবেগে— যেমন প্রথম খৃষ্টীয় সংঘ। কিন্তু অলেপর মধ্যেই সমাজের যত দোষ অসম্পূর্ণতা প্রবৃত্তি চুকিয়া সংঘকে সমাজে পরিণত করে। চঞ্চল বুদ্ধির চিন্তা টেকে না, পুরাতন বা নূতন প্রাণ-প্রবৃত্তির অদম্য স্রোতে ভাসিয়া যায়। ভাবের আবেগে এই চেষ্টার সাফল্য অসম্ভব, ভাব নিজের খরতায় পরিশ্রান্ত হইয়া পড়ে। নিৰৰ্বাণকে একাকী খোজা ভাল, নির্বাণপ্রিয়তায় সংঘস্থষ্টি একটা বিপরীত কাণ্ড। সংঘ স্বভাবতঃ কৰ্ম্মের, সম্বন্ধের লীলাভূমি। যেদিন জ্ঞান কৰ্ম্ম ও ভাবের সামঞ্জস্যে ও একীকরণে আত্মগত ঐক্য দেখা দিবে, সমষ্টিগত বিরাটপুরুষের ইচছাশক্তির প্রেরণায়, সেদিন জগন্নাথের রথ জগতের রাস্তায় বাহির হইয়া দশ দিক আলোকিত করিবে। সত্যযুগ নামিবে পৃথিবীর বক্ষে, মর্ত্য মানুষের পৃথিবী হইবে দেবতার খেলার শিবির, ভগবানের wfo-Roi, temple city of God—afonofit