স্বপ্ন মাত্র। শ্যামসুন্দর বড় চতুর চূড়ামণি, আমার কাছে ধরা দেন না, তাই রক্ষা—নচেৎ উত্তম শিক্ষা দিয়া সব চালাকী বাহির করিতাযু।” এই কথা বলিবা মাত্র দরিদ্র দেখিল হঠাৎ তাহার অন্ধকার ঘর অতিশয় উজ্বজল আলোকতরঙ্গে ভাসিয়া গেল, অলপক্ষণ পরে আলোকতরঙ্গ অন্ধকারে মিলাইয়া গেল, আর সে দেখিল তাহার সম্মুখে একটি সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ বালক প্রদীপ হাতে দাড়াইয়া রহিয়াছে—মৃদু হাসিতেছে, কিন্তু কোনও কথা কহিতেছে না ! ময়ূরপুচছ ও পায়ে নূপুর দেখিয়া দরিদ্র বুঝিল স্বয়ং শ্যামসুন্দর আসিয় তাহাকে ধরা দিয়াছেন। দরিদ্র অপ্রতিভ হইল, একবার ভাবিল প্ৰণাম করি, কিন্তু বালকের হাসিমুখ দেখিয়া কিছুতেই প্ৰণাম কবিবার প্রবৃত্তি হইল না—শেষে মুখ হইতে এই কথাই বাহির হইয়া গেল "ওরে কেষ্ট, তুই এলি কেন ?” বালক হাসিয়া বলিল, “কেন, তুমি আমাকে ডাকিলে না ? এইমাত্র আমাকে চাবুক মারিবার প্রবল বাসনা তোমার মনে ছিল । তা, ধরা দিলাম, উঠিয়া চাবকাও না ।" দরিদ্র আরও অপ্রতিভ হইল, ভগবানকে চাবুক মারিবার ইচছার জন্য অনুতাপ নহে, কিন্তু স্নেহের পরিবর্তে এমন সুন্দর বালকের গায়ে হাত লাগানটা ঠিক রুচিসঙ্গত বলিয়া বোধ হইল না । বালক আবার বলিল,