জগন্নাথের রথ আদর করিতে বড় ইচছা করে, যেন এই জীবনে আর কোন বাসনা নাই ।” বালক হাসিয়া বলিল, “হরিমোহন, কিছু বুঝিলে ?” হরিমোহন বলিল, “বুঝিলাম বই কি।” তাহার পরে একটু ভাবিয়া বলিল, "ওরে কেষ্ট। আবার ফাকি দিলি । অশুভ স্বজন করিলি কেন, তাহার ত কোন কৈফিয়ৎ দি নি।” এই বলিয়া সে বালকের হাত ধরিল । বালক হাত কাড়িয়া লইয়া হরিমোহনকে শাসাইয়া বলিল, “দূর হ ! এক ঘন্টার মধ্যে আমার সব গুপ্তকথা বাহির করিয়া লইবি ?’ বালক হঠাৎ প্রদীপ নিবাইয়া সরিয়া সহাস্যে বলিল, “কই, হরিমোহন, চাৰুক মারিতে একেবারে ভুলিয় গেলে যে। সেই ভয়ে তোমার কোলে বসিলাম না, কখন বাহ্যিক দুঃখে চটিয়া আমাকে উত্তম শিক্ষা দিবে। তোমার উপর আমার লেশমাত্র বিশ্বাস নাই।” হরিমোহন অন্ধকারে হাত বাড়াইল, কিন্তু বালক আরও সরিয়া বলিল, “না, সে সুখ তোমার পরজন্মের জন্য রাখিলাম । আসি।” এই বলিয়া অন্ধকার রজনীতে বালক কোথায় অদৃশ্য হইয়া গেল। হরিমোহন নূপুরংবনি শুনিতে শুনিতে জাগিয়া উঠিল। জাগিয়া ভাবিল, ”এ কি রকম স্বপু দেখিলাম ! @号