পাতা:জনা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
জনা

বুঝি হায় অযতনে, অভিমানে গেছে চলে;
যা লো বা আন্‌লো তারে, মিষ্টি ক’রে বুঝিয়ে ব’লে।
মদনমঞ্জরী। সত্যি আজ—
বসন্ত। সত্যি নয় ত কি মিছে?
ও লো সই, সত্যি বলি, মনের কলি ফুটেছে হায় যাবে দেখে;
বল না, মন কি বোঝে, চোখের আড়ে তারে রেখে?
পল ব’য়ে যায় যুগের মত, সে বিনা সব দেখি আঁধার;
আমি তার আমার জানি, বিকিয়ে পায় হয়েছি তার।
সে যদি সই, পায়ে ঠেলে, প্রাণে বড় দাগ লাগে;
মনে হল, পব ত সে নয়, সে যে আমার প্রাণে জাগে।
মদনমঞ্জরী। সই,
পরিহাস কর পরিহার!
কে জানে লো কেন কাঁদে প্রাণ,
যেন হৃদাগার শূন্যময় মম,
যেন কোথা শুনি রোদনের ধ্বনি!
কেন লো স্বজনি,
গুণমণি এখন’ এলো না!
নহে সখি, প্রেমের প্রলাপ,
ছার প্রেম ক্ষার দিই তায়,
প্রাণনাথ থাকুন কুশলে,
নাহি চাই ভালবাসা মিষ্ট সম্ভাষণ,
নাহি চাই দরশন তাঁর।
প্রাণপতি আছেন কুশলে,
যদি কেহ বলে,
যাই চ’লে নিবিড় অরণ্য মাঝে।