পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভু কি দেখেছিলে এ ছবি সেইদিন এখন কোনোখানে শাস্তি নেই হে সখা চল চল, কোথায় যাবে বল, আমার ভিতরে যে দুঃখ নেই আমি যে সেই শিশু কালের প্রসবিত, দেখেছে যাকে কবে মহামুনি হে সখা চল, চল, বেলা যে কত হল, কোথাও কোনোদিকে শাত্তি নেই কালের সে-প্রসব জানত মহামুনি, আমার প্রসবে যে সাক্ষী নেই হে সখা চল চল নিশিত ভৈরবে, দ্রিদিম রৈবতে, সময় নেই হে সখা চল চল ডেকেছে অব্রান, ব্রাত্য মাঠে মাঠে হলুদ ধান আমার ক্ষয় নেই, আমার ভয় নেই, রয়েছে অনপত সুনিৰ্মাণ হে সখা চল চল, নদীর তটে ফিরে যেখানে মুনি রোজ করত স্নান এখন তট নেই, জীবনে জট নেই, জীবনে জীবিত ও মৃত সমান আমার বাল্যের সখা হে তুমি ছিলে, হারিয়ে গেছে কবে বাল্যকাল হারিয়ে গেছে কবে বন্ধু মুখগুলি, এখন চারিদিকে মন্বন্তর তুমিই সখা একা রয়েছ শুধু কাছে, অন্য সকলেই হয়েছে পর কতই কথা ছিল, প্রতিশ্রুতি ছিল, জীবনে ছিল কত নীল শপথ এখন প্রাত্তর কেবল পোড়ে ঝড়ে গিয়েছে থেমে কবে মনের রথ করুণাঘন দিনে বরষা বন্দনা, বরষা আসে নাকো শুধুই মেঘ এমন দিনে সখা ভালো কি থাকা যায়, দুজনে একা এক নিরুদ্বেগ হে সখা চল চল, এ মাটি ছেড়ে চল, নইলে সমূহে তো সর্বনাশ ডুবছে মহাভুমি সলিলে অবিনত, ডুবছে মনোভূমি শূণ্যখাত বৃষ্টি ঝড়ে জলে ধবংস হল রাত, দিনের রয়ে গেল বজ্রপাত এ মহাভূমি ছেড়ে যেখানে যাবে চল সেখানে কারো কোনো ধবংস নেই ধবংস নেই বলে সৃষ্টি থাকবে না, এ মাটি চরাচরে সত্য নেই তবে কি ছেড়ে যাব সতত নির্মাণ, এমন সংশয়ে যাওয়া কি যায় এগিয়ে যুতে যেতে থমকে একবার শিশুটি কালমৃত পিছনে চায় >8