পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উজ্জ্বল নদীতট, নিবিড় সৌষ্ঠব, নিশিথ সমীরণে দুটি প্রাণী দাড়ালো মুখোমুখি দুইটি চখাচখি মনের কথা হল জানাজানি কেউই জানল না, হরিদ্রাভ হল মনের অগোচরে উপনিবেশ • বৈরী হল মন ও মন কোথা যাবি, বাল্যে সখা ডাকে সুনিজন ও মন কোথা যাবি, ভুবনডাঙা মাঠে, ও মন হাটখোলা পুকুরপাড় এখনো ডাকে যাবি, পারিতি বৈশাখে, এসব ফেলে যাবি এ সংসার এই তো আছি বেশ, আবার কেন যাব, বাল্যে হাতছানি শ্মশানকুপ অন্ধ হয়ে আছি, বন্ধ এইখাতে, রিক্ত জেগে থাকে অনুষ্টুপ অন্য যারা ছিল, অন্য সহচর, অন্য কথা হল, অন্য ভাব দেখল মহামুনি আসনে ধ্যানে বসে এ কোন ভিন্ন মনস্তাপ কোথায় বিঘ্নিত, কতটা অনুমিত, কোথায় কতখানি এ সংশ্লেষ পর্যটন শেষে, নদীর তটখানি সহসা ডুবে গেল নিৰ্ণিমেষ কিছুই বললে না, কেউই জানল না, নিথর রইলেন মহামুনি নিশিথ সমীরণে সকল ভক্তেরা প্রণত পদতলে সমুচ্চয় যজ্ঞ শুরু হল, জীবনে বৈভবে, মাটি যে মহামায়া, পিতা আকাশ যজ্ঞ কিছু নয়, আসলে ছিল বুঝি আমার জন্মের পূর্বাভাস যজ্ঞ শুরু হল, অগ্নি অনিকেত, ফুল্ল কুসুমিত জাগল হোম যজ্ঞ কিছু নয়, আসলে সংশয়, আসলে বন্ধন অলক্তক মন্ত্রপাঠ করে সেখানে মহামুনি, অন্য ভক্তেরা কী প্রজ্ঞায় শুনছে উপকথা পরম ভক্তিতে, আকাশে নৈঋতে একটি মেঘ ঢাকল শেষ বেলা, সন্ধ্যে এল নেমে কেউই দেখল না অনুদ্ধার তখন গলিপথে একটি সাজঘরে গিয়েছে খুলে তার বদ্ধদ্বার ধোয়ার কুণ্ডলী যখন শুষে নিল প্রহরা চারিভিতে দৃষ্টিপাত অর্কপ্রভ গেল রুচিরা সাথে সেই অন্ধ গলিপথে পুণর্বার কেউই জানল না, কেউই দেখল না, শাপেই কাল হল দুটি প্রাণী চন্দনের বনে একলা দুইজনে শিথিল হল সব জানাজানি কীভাবে যাবে সব দুরুহ পথঘাট বৃষ্টি এল নেমে কালো মেঘে ভঙ্গ হল স্তব, মুনিন জানতই এ কাল যজ্ঞের হবে না শেষ গোধুলি রাঙা হল, বিপ্র বর্ণাভ, এ চরাচর তবে ধবংস হোক SNE