পাতা:জন্মভিটের উপর দিয়ে ফিরছি.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখোমুখি পশ্চিমে শ্মশানঘাট, রাস্তার পূর্বপ্রাস্তে বাসা বাসার ঠিক পাশেই দশকর্ম, জালানী কাঠের দোকান দোকানে উনি, বাসায় অামি আর হাড়ি কলসী কাঠ সারাদিন শব য}য় – সার রিণত বিকট চিৎকারে হরিধবণী আস্তরাত্মা কঁপে, তবু দেখি শবযাত্রা, দেখব না ভেবেও পশ্চিমের জানলা খোলা থাকে, চিতাচুল্লী ধোয়া উচনের ধোঁয়ায় চোখ জাপা করে, জল ঝরে অস্তিমে আমাদের দোকানের কাঠে অরণ্য মুখ কি দারুণ পোড়ে স{ জানো থাকে না অণর চিতার শয্যা, সাজানো শরীর রাত্রির গভীরে সচকিত কতদিন বিনিদ্র আমরা উদ্বেগ আকুল প্রশ্নে পরস্পর তাকাই অন্ধকারে অ যুকালের আশংকা জাগে – কেবলই আগলাই নিদ্রিত বংশধর – আমাদের ভবিষ্যৎ – কাঠের দোকানি যার দিন নেই, রাত নেই, ছুটি নেই – কেবলই সাজাবে হাড়ি কলসী কাঠ ; – একদিন অণগুন নেভাবে পশ্চিমে শ্মশান ঘাটে, হাড়ি ভেঙে শোকস্তব্ধ পূর্বমুখী ওরা পিছনে তা কাবে না একবারও, ফিরবে বাসগঞ্জ অনিবতী কালের মানমুখ চিরস্ত শ্মশানে । Wo%