Şჯა$ কাশ্মীর যাত্ৰা । ১৭শ বর্ষ [ প্রাপ্য হইয়া থাকে। পাণ্ডার লোকের তীক্ষ দৃষ্টি যে পুরোহিত একটি পয়সা ঠকাইয়া না নেয় । পুরোহিতও সময় পাইলে ছাণ্ডেন না । ইহা অামি বহুবার । দেখিয়াছি। কলহ হয় হয় হইত, কেবল বড়লোক যজমান। তাই শ্ৰাদ্ধ গড়াইত, R একটী কথা বলিতে ভুলিরছি। যখন গয়া ষ্টেশনের গাড়ী বাড়েগুতে উপস্থিত হইয়া ছিলাম, একজন পাণ্ড জিজ্ঞাসা করিয়াছিল। আপনার পাণ্ড কে ?” আমি উত্তর করিয়াছিলাম গদাধর। বচনে তুষ্ট হইয়। পাণ্ড আর কিছু না বলিয়া পশ্চাৎ আসিয়া ক্ৰমাগত জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, আপনার বাড়ী কোন জেলা, গ্রামের নাম কি ? আনি গ্রামের নাম ছাড়া আর সব বলিলাম। খুড়ামহাশয় ও খুল্ল পিতামহ গয়া আসেন জানি। তাহারা কাহাকে পাণ্ডাস্থির করেন। মনে নাই। পুনপুনে অতটা ভাবি নাই। এখন আর পাত্ত: পরিবর্তনের ইচ্ছা! হইল না । পরিচয় দিলাম না। কিন্তু শ্ৰাদ্ধকালে আবার সেই আপদ উপস্থিত। প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড খাতা লইয়া জুই পাণ্ড উপস্থিত। দু-জনকেই “স’ এর ঘরের গ্রামের নাম পড়িতে বলিলাম। আমাদের গ্রামের নাম। কিন্তু পাইলাম না । তখন তাহাদিগকে বিদায় করিয়া দিলাম । পিতার নাম প্ৰভৃতি জিজ্ঞাসা করিল। আমি বলিলাম গরজ থাকে শ্রাদ্ধকালে আসিয়া শুনিও কোন কথা থাকিবে না । দেখলাম তাহারা অতি কষ্ট করিতে রাজী নহে। যাক আমি আমার নাব নিযুক্ত পাণ্ড দ্বারাই কাজ করাইতে লাগিণাম । ফন্তুতে স্বান ও তৰ্পণ সমাধা করিলাম। তৎপর দইওয়ালা ও দুধওয়াল দই ও দুধ লইয়া উপস্থিত হইল। তাছাও দিলাম। এবার পিণ্ডদানের ব্যাপার। স্থান স্থির হইল। বসিলাম । পুরোহিত কুশ পাতিয়া এটা ওটা করিতে ফরমাইস দিয়া আবার সেই সুদীর্ঘ সংকল্প বাক্য আরম্ভ করিলেন। তাহার ইচ্ছা সংকল্পটা তারাতার সারিয়া যান এবং অ্যাম নমো নমঃ করি। তাহ পারিলাম না। স্পষ্ট করিয়া সংকল্পটা শুনিলাম এবং বলিলাম । তৎপর। তাহার নির্দেশ মত কাৰ্য্য, করিতে লাগিলাম। এবার দাক্ষিণার পালা। এপর্য্যন্ত ধুপাৰ্থং জলৎ দীপাৰ্থং সুৰ্য্যং হইয়াছে। অথচ পাণ্ডার লোক ধুপ দীপমৈবেদ্যাদির পয়সা নিয়াছে। তখন আমি দক্ষিণাণং জলং বলিথাৎ ভাবিয়া ছিলাম। পিতৃকাৰ্য্য স্মরণ করিয়া বিরত হইলাম। যথাসাধ্য দক্ষিণ করলাম । তৎপর ব্ৰাহ্মণ ভোজনের ব্যাপার । সেটা রফি। ইহঁণে সর্বশেষে দিব। কাৰ্য্য শেষে পাণ্ডার লোককে বলিলাম, দেখা
