পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ । সাধনতত্ত্ব। e AS ভক্তি সহকারে শ্ৰীভগবানকে ভজনা করিলে, ভক্তিতেই তিনি বশ হন অর্থাৎ তঁহাকে ভক্তিযোগে প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। এই ভগবৎ-বাক্যের পোষকতায় टीभटुi१ांवcड ( २२२० ) cगथों बांध “ন সাধয়তি মাং যোগে না সাখ্যংধৰ্ম্ম উদ্ধব। ন স্বাধ্যায়স্তপস্ত্যাগে যথা ভক্তিক্ষ্মমোর্জিতা ৷ শ্ৰীকৃষ্ণ উদ্ধবকে কহিয়াছিলেন, উদ্ধব ! আমার উর্জিত শ্রেষ্ঠা, ভক্তি,-প্ৰেমভক্তি যেরূপ আমাকে রুদ্ধ করে-বশীভুত করে, যম-নিয়মাদি অষ্টাঙ্গযোগ, সাংখ্য ( আত্মানাত্মবিবেক ), ধৰ্ম্ম ( গাৰ্হস্থ ধৰ্ম্ম ), স্বাধ্যায়। --বেদপাঠ ( ব্ৰহ্মচারি ধৰ্ম্ম ), তপস্যা ( বাণপ্ৰস্থ ধৰ্ম্ম ) এবং ত্যাগ (সন্ন্যাস ), ইহারা কেহই আমাকে সেরূপ বশীভূত করিতে পারে না। ঐ গ্রন্থে-( ১১১৪৷৷২০ ) “ভক্ত্যাহমেকয়া গ্ৰাহঃ শ্ৰদ্ধয়াত্মা প্ৰিয়সতাম। ভক্তিঃপুণাতি মন্নিষ্ঠ শ্বপাকানপি সম্ভব।াৎ ৷” ভগবান উদ্ধবকে বলিয়াছিলেন, কেবল মাত্র শ্রদ্ধাসমন্বিত ভক্তি দ্বারাই সাধুগণ। আমাকে প্ৰিয় আত্মারূপে প্ৰাপ্ত হইয়া থাকেন। আমার প্রতি নিষ্ঠাভক্তি চণ্ডাল কেও জাতিদোষ হইতে পবিত্র করে। র্যাহার কিছুমাত্র বিচারশক্তি আছে, তিনি ইহার দ্বারা বুঝুন যে, কি বৈদিক, কি তান্ত্রিক, কোন প্রকার কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে কখন শ্ৰীভগবানের সাক্ষাৎকার হয় না ; সুতরাং যাহারা তন্ত্র শাস্ত্রের • আশ্ৰয় গ্ৰহণ করিয়া ষটুচক্ৰ ভেদ, ভূতশুদ্ধি, মারণ, উচাটন, বশীকরণ, এবং নায়িকা সাধন, কালিসাধন, ভৈরবি সাধনাদি যত প্ৰকার ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠান করেন, তাহাতে কখন ভগবৎ-প্রেমরূপ মহাধন প্রাপ্ত হওয়া যায় না ; কাজে কাজেই তাহার কখনই ভগবৎ সাক্ষাৎকার লাভ করিতে পারে না । ইহার সঙ্গে ভুক্তিবিরোধী তন্ত্র এবং পুরাণের কল্পিত দেবতাগণও কখন ভগবৎ ভক্তের উপাস্ত হইতে পারে না। অতএব সৎ-চিৎ এবং আনন্দ চিন্ময় বিগ্ৰহ স্বরূপ স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ ব্যতীত দ্বিতীয় উপাস্য আর কেহ নাই । স্বগীয় রমেশচন্দ্ৰ দত্ত। ৰঙ্গের আর একটি সমুজ্জ্বলরত্ন করাল কাল সাগরে ডুবিল। রাজধানির রামবাগানের সু-গ্রসিদ্ধ দত্ত, কুল-প্ৰদীপ’বাবু বমেশচন্দ্র দত্ত গত ১৩ই অগ্রহায়ণ