হয়তো তাড়াতাড়িতে অন্য কোনো বড় পাওনাদারের খাম তাহাকে দিয়াছে। তাহারও নাম বোধ হয় H. P. B. অত ভিড়ের মধ্যে কেরানী বাবু কাহার নামের খাম কাহাকে দিয়াছে।
এগারশো টাকা তাহার নিকট অ-নে-ক টাকা। সামান্য অবস্থার মানুষ সে, গাছ-গাছড়া বেচিয়া সংসার চালায়! ভগবান দিয়া দিয়াছেন—উঃ, আর কি সময়েই দিয়াছেন— ভগবানের দান ত! সারা জীবন গাছ-গাছড়। বিক্রয় করিয়াও সে এগারোশো টাকা জমাইতে পারিত না। আর একসঙ্গে নগদ এতগুলি টাকা হাতে পাওয়া কি সোজা কথা? কার মুখ দেখিয়াই না সে উঠিয়াছিল!
ট্রেণে যাইতে যাইতে ঠাণ্ডা হাওয়া লাগিয়া তাহার উত্তেজনা অনেকটা শান্ত হইল। কিন্তু একটা উত্তেজনা তখনও কমিল না—কতক্ষণে স্ত্রীর কাছে কথাটা বলিবে। গাড়ি যেন চলিতে চাহিতেছে না, এত বড় আনন্দের খবর কাহাকেও না জানাইতে পারিয়া, ভগবান জানেন, কি অসহ্য যন্ত্রণা যে তাহার হইতেছে!
গাড়ির কোণে একটা প্রৌঢ় ভদ্রলোক গলায় কম্ফর্টার জড়াইয়া বসিয়া আছেন। তাঁহাকে গিয়া কথাটা বলিবে।
—দেখুন মশায়, বড় একটা মজা হয়েচে। একটা আপিসে চল্লিশটা টাকা পেতুম, তারা ভুল ক’রে এগারোশো টাকা দিয়েছে। এই দেখুন টাকা।
আপিসের নাম সে তো বলিতে যাইতেছে না?
দরকার নাই, সন্দেহ করিয়া লোকটা যদি পুলিশে খবর দেয়!
আপিসের লোকে নিশ্চয়ই ভুল ধরিয়া ফেলিবে এবং তখনি তাহার সন্ধানে লোক ছুটিবে। ছুটিলেও তাহার ঠিকানা বাহির