সন্ধ্যা হইবার দেরি নাই। রাস্তায় পুরোনো বইয়ের দোকানে বই দেখিয়া বেড়াইতেছি, এমন সময়ে আমার এক বন্ধু কিশোরী সেন আসিয়া বলিল, এই যে এখানে কি ? চল চল জ্যোতিষীকে হাত দেখিয়ে আসি। তারানাথ জ্যোতিষীর নাম শোন নি ? মস্ত বড় গুণী।
হাত দেখানোর ঝোঁক চিরকাল আছে। সত্যিকার ভালো জ্যোতিষী কখনও দেখি নাই। জিজ্ঞাসা করিলাম—বড় জ্যোতিষী মানে কি ? যা বলে তা সত্যি হয় ? আমার অতীত ও বর্তমান বলতে পারে ? ভবিষ্যতের কথা বললে বিশ্বাস হয় না।
বন্ধু বলিল—চলই না। পকেটে টাকা আছে ? দু-টাকা নেবে, তোমার হাত দেখিও । দেখ না বলতে পারে কি না। কাছেই একটা গলির মধ্যে একতলা বাড়ির গায়ে টিনের সাইনবোর্ডে লেখা আছে—তারানাথ জ্যোতির্বিনোদ—
এই স্থানে হাত দেখা ও কোষ্ঠীবিচার করা হয়।
গ্রহশান্তির কবচ তন্ত্রোক্ত মতে প্ৰস্তুত করি।
আসুন ও দেখিয়া বিচার করুন।
বড় বড় রাজা-মহারাজার প্রশংসাপত্ৰ আছে। দর্শনী নামমাত্র।
বন্ধু বলিল—এই বাড়ি।
হাসিয়া বলিলাম—লোকটা বোগাস্ এত রাজা-মহারাজা যার ভক্ত, তার এই বাড়ি ?