পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>"8 জন ষ্টুয়াট মিলের জীবনবৃত্ত । হইলেন। যে দিন তিনি সভ্য মনোনীত হইলেন, তাহার এক সপ্তাহ পূৰ্ব্বে তাহারা তাঁহাকে ডাকাইয়া পাঠান। ইলেকটরের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করিলেন, নানা বিষয়ে উtহার মত জিজ্ঞাসা করিলেন ; কিন্তু সকল বিষয়েই তাহারা মিলের নিকট হইতে স্পষ্ট ও অপ্রতিরুদ্ধ উত্তর পাইলেন। কেবল এক বিষয়ে—অর্থাৎ তাহার ধৰ্ম্ম-বিষয়ক মত সম্বন্ধে— তিনি প্রথম হইতেই বলিয়াছিলেন যে কোন উত্তর দিবেন না ; ইলেকটবের ইহাতে তাহার প্রতি বিরক্ত না হইয়। বরং প্রসন্নই হইয়াছিলেন । উত্তরের গুণ গুণ যাহাই থাকুক, ধৰ্ম্ম ভিন্ন সকল বিষয়েই সরল ও নির্ভীক ভাবে উত্তর দেওয়ায় মিল, ইলেকটরাল, সমাজের বিশেষ প্রীতিভাজন হইয়াছিলেন । ইহার প্রমাণ স্বরূপ একটা মাত্র উদাহরণ দিলেই পাঠকগণের প্রতীতি জন্মিবে। “পালিয়ামেণ্টীয় সংস্কার বিষয়ে কয়েকট চিন্তা” নামক মিল রচিত একখানি পুস্তিকায় লিখিত ছিল—যে যদিও অন্যান্য দেশের শ্রমজীবী অপেক্ষ ইংলণ্ডের শ্রমজীবীরা মিথ্যা কথা কহিতে কিঞ্চিৎ লজ্জা বোধ করেন, তথাপি তাহারা সাধারণতঃ ইলেকটরাল, সমাজের সম্মুখে ধারণ করেন । এই ইলেক্টরাল সমাজ শ্রমজীবিশ্রেণী-গঠিত ছিল ; সুতরাং এ কথা গুলি তাহাদিগের “প্রীতিকর বোধ না হওয়ায়, তাহারা মিল কে জিজ্ঞাসা করিলেন তিনি ইহা লিখিয়াছেন কি না। মিল, তৎক্ষণাৎ উত্তর করিলেন—“লিথিয়াছি”। “লিখিয়াছি” এই শব্দটী মিলের মুখ হইতে উচ্চারিত হইতে ন হইতেই, গভীর প্রশংসা ধ্বনি সেই সভাকে প্রতিধ্বনিত করিল। শ্রমজীবিশ্রেণী এতদিন পর্য্যন্ত পালিয়ামেণ্টে যত প্রতিনিধি পাঠাইয়াছিলেন, তাহাদিগের কেহই কখন তাহাদিগের প্রশ্নের অপ্রীতিকর উত্তরদিতে সাহস করেন নাই ; সকলেই তাহাদিগের মনের কথা গোপন করিয়া ইলেক টরাল সমাজের তুষ্টিবিধানের নিমিত্ত অপ্রকৃত কথা বলিয়াছেন ; যাহাতে ইলেকটরাল, সমাজ বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট হইতে পারেন এরূপ কথা সাহসপূৰ্ব্বক কেহই বলেন নাই ; ইলেক টরাল সমাজ এতদিন যেরূপ উত্তর শুনিয়া আসিতেছিলেন আজ তাহার ৰিপরীক্ত ।