পিতৃলিখিত মানবমনের বিশ্লেষণ গ্রন্থের সম্পাদন। ১৫ত মিষ্টার বেইন, বিখ্যাত ঐতিহাসিক মিষ্টার গ্রেট এবং স্ববিখ্যাত শব্দশাস্ত্রজ্ঞ মিষ্টার ফিনডিলেটার—এই তিন জনে এই বিষয়ে প্রাণপণে তাহার সাহায্য করিয়াছিলেন। মনোবিজ্ঞান বিষয়ে যে সকল টিপ পনী প্রদত্ত হয়, তাহার প্রায় অৰ্দ্ধভাগ তৎকর্তৃক লিখিত এবং অপরাদ্ধ মিষ্টার বেইন কর্তৃক প্রদত্ত। দর্শনেতিবৃত্ত সম্বন্ধে যে সকল টিপ পনী প্রদত্ত হয়, তাহার সমস্তই গ্রোটের শ্রমসম্ভ ত ; এবং শব্দশাস্ত্র, সম্বন্ধে যে সকল অভাব প্রপূরিত হয়; তাহ ফিণ্ডিলেটারেরই যত্নে। যংকালে জেমস মিলের পুস্তকখানি প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন মনোবিজ্ঞানের স্রোত প্রতিকূল দিকেই প্রধাবিত ছিল ; ভূমো দর্শন ও সংযোজন মত তখন ও সম্যকরূপে প্রচারিত হয় নাই ; এই জনাই ইহা তৎকালে সাধারণ জনগণের নিকট ততদূর আদৃত হয় নাই । কিন্তু ইহ কতিপয় মনীষীর মনে এরূপ গভীর ভাব অঙ্কিত করে, যে র্তাহারা ভূয়োদর্শন ও সংযোজন মতের পক্ষপাতী না হইয়। থাকিতে পারিলেন না। এবং ইহঁাদিগেরই যত্নে এই মতের স্বপক্ষ্যে যে অনুকল পবন উত্থাপিত হয়, তাহারই প্রবাহ হেতু বর্তমান সময়ে ভূয়োদর্শন মনোবিজ্ঞানের এতদূর প্রভাব । দৈনিক মনোবিজ্ঞান বিষয়ে যতগুলি পুস্তক লিখিত হইয়াছে, ত: , বেইন ও জেমস মিলের পুস্তকদ্বয়ই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । এই দুই খানিই উৎক্লষ্ট পাঠ্য পুস্তক হওয়ার সম্পূর্ণ উপযুক্ত। ইত্যবসরে ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের শরৎকালে—যে পালিয়ামেণ্ট রিফরম, অ্যাক ট পাশ করেন—তাহার অধিবেশন ভঙ্গ হইল । মিল গতবার ওয়েষ্টমিনিষ্টার কর্তৃকই পালিয়ামেণ্টে প্রতিনিধি প্রেরিত হন । কিন্তু নব প্রতিনিধি মনোনীত করণকালে মিলের নাম পরিক্ষিপ্ত হইল । তিনি ইহাতে কিছুমাত্র ও বিস্মিত হইলেন না । এই ঘটনার দুই তিন দিন পূৰ্ব্বে ও তাহার পৃষ্ঠপোষকেরা ভাবিয়াছিলেন যে তিনি এবারও ওয়েষ্টমিনিষ্টার কর্তৃক প্রতিনিধি মনোনীত হইবেন । সুতরাং মিল, পরক্ষিপ্ত হওয়ায় তাহারা মৰ্ম্মান্তিক বেদন পাইলেন। মৰ্ম্মান্তিক .বেদন পাইলেন বটে, কিন্তু বিস্মিত হইলেন না। মিল যে পরি:
