পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলের ধৰ্ম্ম ও নতি শিক্ষা । さて করিতেন না। তিনি বলিতেন যে যদি খন কোন জীবন-স্থশিক্ষা ও সুশাসন দ্বারা সংঘটিত হয়, সে জীবন সার্থক হইবে সন্দেহ নাই ; কিন্তু এরূপ ঘটনার সম্ভাবনা বিষয়ে তাহার বিশেষ আশার সঞ্চার হষ্টত না। তিনি বিদ্যালোচনায়-মুখ ব্যতিরিক্তও কতকগুলি অবশ্যম্ভাবী উৎকৃষ্ট ফলের উপলব্ধি করিতে পারিতেন ; কিন্তু সেই সকল ফল গণনা না করিল ও বিদ্যালোচনা-জনিত সুখকে অন্যান/কারণোৎপন্ন মুখ অপেক্ষা উচ্চতর পদবী প্রদান করিতেন। হিতৈয-বৃত্ত্বি-জনিত সুথকেই তিনি সৰ্ব্বোচ্চ আসন প্রদান করিতেন এবং বলিতেন যে যে যুব জনের সুখের সহানুভাবক হইতে পারে সেই কেবল বাৰ্দ্ধক্যে স্বর্থী হইতে পারে । তিনি সৰ্ব্বপ্রকার অত্যাসক্তিকেই অন্তরের সহিত ঘৃণা করিতেন, এবং একপ্রকার উন্মত্তত বলিয়া মনে করিতেন । প্রাচীন সময়ের সহিত তুলনা করিলে, বর্তমান যুগে অনুভূতি (Feelings) সকলকে যে উচ্চ আসন প্রদান করা হইয়াছে ইহাকেই তিনি বর্তমান যুগের নীতিভ্রংশের মূল বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । Y তাহার মতে শুদ্ধ মনের ভাবের জন্য কেহ নিন্দ বা সুখ্যাতির ভাজন হটতে পারেন না । ন্যায় ও অন্যায় এবং ভাল ও মন্দ—কার্য্যের । উপরই সম্পূর্ণ নির্ভর করে। কর্তৃব্যের করণ ও অকৰ্ত্তব্যের অকরণকেই ন্যায্য ও ভাল এবং তাহার বিপৰ্য্যয়কেই অন্যায্য ও মন্দ কাৰ্য্য বলিয়া নির্দেশ করা যায় । কৰ্ত্তব্যের করণ ও অকৰ্ত্তব্যের আকরণ বা তদ্বিপরীত ইচ্ছা জন্য কেহ সুখ্যাতি বা নিন্দার ভাজন হইতে পারেন না। কারণ অনেক সময়ে সাধু ইচ্ছা হইতে অসাধু কার্য্যের এবং অসাধু ইচ্ছা হইতে । সাধু কার্য্যের উৎপত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। এই জন্য তিনি সাধু বা অসাধু ইচ্ছার জন্য কৰ্ত্তাকে সুখ্যাতি বা নিন্দ করিতেন না । কিন্তু কার্য্যের সাধুত্ব বা অসাধুত্ব দেখিয়াই কৰ্ত্তার মুখ্যাতি বা নিন্দ করিতেন। তাহার মতে সাধুকৰ্য্যের প্রবর্তন ও অসাধু কাৰ্য্যের নিরাকরণই মুখ্যাতি বা নিন্দার প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। যে অসাধু কাৰ্য্য । সাধু অভিপ্রায়ে অনুষ্ঠিত হইয়াছে এবং যে অসাধু কাৰ্য্য অসাধু অভি- ' প্রায়ে অনুষ্ঠিত হইয়াছে, সেই অসাধু কাৰ্য্যদ্বয়ের তিনি কোনও প্রভেদ