পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিলের আত্মশিক্ষা । ゞ)、○ পুস্তক এবং কণ্ডিলাক্‌-লিখিত “ টেট, ডেস্ সেনসেসনদ’ ও ‘‘ কোর্স ডেটিউডস ” নামক ন্যায় ও দর্শন শাস্ত্রবিষয়ক পুস্তকদ্বয় সৰ্ব্বপ্রথমে তাহার হস্তে পতিত হয় । ইহার পর ফরাশি-বিপ্লববিষয়ক ইতিহাস পাঠ করিয়া তিনি বিস্ময় ও আনন্দ রসে আপ্লুত হন। এই প্রলয়সদৃশ ঘটনার বিষয়ে তিনি পূৰ্ব্বে সবিশেষ অবগত ছিলেন না। তিনি কেবল এই মাত্র জানিতেন যে, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ লুইয়ের যথেচ্ছাচারিতায় জর্জরীভূত ফরাশিজাতি ফরাশিরাজ ষোড়শ লুই, ও তদীয় সহধৰ্ম্মিণী রাজ্ঞী মেরিয়া অ্যাণ্টয়নেটির প্রাণবিনাশ পূৰ্ব্বক যথেচ্ছাচারিতার শৃঙ্খল হইতে আপনাদিগকে উন্মুক্ত করেন, এবং অসংখ্য স্বজাতির রুধিরে হস্ত কলুষিত করিয়া অবশেষে নেপোলিয়ানের করে আত্ম-সমৰ্পণ করেন । পূৰ্ব্বে তিনি ফরাসিবিপ্লবের এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ মাত্র অবগত ছিলেন । এক্ষণে সবিশেষ জানিতে পারিয়া, ফরাশি জিরতুিষ্টের যে স্বাধীনতা ও যে সাধারণতন্ত্রের জন্য ধন প্রাণ বিসর্জন করিয়া গিয়াছেন,—তিনি সেই স্বাধীনতা ও সেই সাধারণতন্ত্রের পিপাসু হইয়া উঠিলেন । তাহার সজীব কল্পনা তাহার মনে এই চিত্র অঙ্কিত করিল—যেন ফরাশী বিপ্লবের ন্যায় একটা ঘটনা অচিরকাল মধ্যেই ইংলণ্ডে সংঘটিত হইবে এবং তিনি ইংলণ্ডীয় মহা সভায় ফরাশি জিরস্তুিষ্টের আসন গ্রহণ করিবেন । ইংরাজব্যবহারশাস্ত্রের উপর জেমস মিলের বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল না । তথাপি তিনি পুত্রকে সৰ্ব্বাপেক্ষা ব্যবহারবিভাগেরই যোগ্য মনে করিয়া নুতন বন্ধু অষ্টিনের নিকট রোমীয় ব্যবহারশাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে বলেন। তদনুসারে মিল ১৮২১-২২ খ্ৰীষ্টাব্দে অষ্টিনের নিকট ব্যবহারশাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন। ডিউমণ্ট—“টেটুডি লেজিসলেসন” নামক যে পুস্তকে বেনথামের বিধি-বিষয়ক মত সকল ব্যক্ত করিয়াছেন, এই সময়ে সেই পুস্তক মিলের হস্তে পতিত হয়। এই পুস্তক মিলের মনোজগভে একটা নুতন যুগের অবতারণা করে । মিল আশৈশব বেনথামিক প্রণালীতেই দীক্ষিত ছিলেন । “ যে কাৰ্য্য সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে | অধিক লোকের মুখের উৎপাদক, তাহাই ধৰ্ম্ম্য ও লোকের করণীয় ”— । .মিল সকল কাৰ্য্যেই বেনথামের এই মত প্রয়োগ করিতেন। সাধারণ