পাতা:জমীদার দর্পণ নাটক.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 জমীদার দর্পণ নাটক । ছায় । জামাল ! তোমার বিবেচনা কি হয় ? জামা । আপনি যে হুকুম ক’ৰ্ব্বেন তাই কৰ্ব্বো, এতে আর আমাদের বিবেচনা কি ? ( প্র, মোসাহেব এবং নিদ্রোথিত বেশে সিরাজ আলীর প্রবেশ । ) সিরা । আগরে পাজিরে । এমন কাজ ক’ল্লি ? একেবারে হাবু খার নাম ডুবালি ? তোর কি কাও জ্ঞান নাই ? চির কালই কি তোর এই ভাবে গেল ? লক্ষীছাড়া । আর কি মরার জয়গা ছিলনা ? এমন কাজ কি কৰ্ত্তে হয় ? যত গোয়ার একঠাই জুটে এই কাজ ক’চ্ছে! এখন মুখে কথা নাই ! তোর জন্যে সৰ্ব্বনাশ হলে ! পূৰ্ব্ব পুৰুষের নাম গেল, তুই কি একেবারেই পাগল হয়েচিস ? এখন আর কি ব’লবো ? তোরে এবুদ্ধি কে দিলে ? ( দ্বি, মোসাহেবের প্রতি ) এখন মুখে কথা নাই, পাজিরা এখন যেন কেউ নয় ! সৰ্ব্বনাশ ক’ল্লি । ফুটে পেটে মজালি! রাগ আর বরদাস্ত হয় না— দ্বি, মোসাহেবকে মুস্ট্যাঘাত ) তোরাই আমার সর্বনাশ ক’ল্লি ! তোদের কুপরামর্শেতেই হয়েছে ! দ্বি, মো। দোহাই আল্লার ! কোরাণের কিরে । অপনার গা ছয়ে ব’লতে পারি, আমি দফায় দক্ষায় মানা করেছি, এমন কাজ ক’ৰ্ব্বেন না। তাকি উনি শুনেন, উনিনা একজন !