পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১১৯

প্রতিশোধপরায়ণতার পরিচয় দিল তাহাতে সুভাষচন্দ্র মর্ম্মাহত হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতেও তিনি দেশ-সেবা মুহূর্ত্তের জন্যও ত্যাগ করেন নাই। বরং এই ভাবিয়া আরও অস্থির হইয়াছিলেন যে, ইতিহাসের এক অতিশয় সুমহৎ সন্ধিক্ষণে, স্বাধীনতা-লাভের একটি অপূর্ব্ব সুযোগ ঐ কংগ্রেসের ক্ষুদ্র ও হীন-নীতির ফলে ভারত বহুকালের জন্য হারাইবে; বীর্য্য ও বিশ্বাসের অভাবে সে সুনিশ্চিতকেও লাভ করিতে পারিবে না, এবং শেষে অনিবার্য্য ভাবে অধিকতর শোচনীয় অবস্থায় পতিত হইবে। ইহা তিনি —একমাত্র তিনিই—সেইকালে প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। এই জন্যই তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন। সেই অপরাধে গান্ধী-কংগ্রেস তাঁহাকে এমনই বিষ-দৃষ্টিতে দেখিল যে, কিছুকালের জন্য ব্রিটিশ প্রতিপক্ষকেও ভুলিয়া গেল—সুভাষচন্দ্রকে নিঃশেষে বিনাশ করিয়া তাঁহার ভস্মরাশি উড়াইয়া দেওয়াই তাহার একমাত্র চিন্তা হইয়া উঠিল। সুভাষচন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য বাংলার কংগ্রেসও তাহার বিষদৃষ্টিতে পড়িল —রামগড় কংগ্রেসে বাংলা হইতে প্রতিনিধি-নির্ব্বাচনে এমন নিয়ম করা হইল, যাহাতে বাংলার ভোট সেখানে কোন বাধা সৃষ্টি করিতে না পারে। ইহাও কংগ্রেসের সনাতন-রীতি—প্রতিনিধি-নির্ব্বাচনের যে কঠিন নিয়মাবলী আছে তাহাও গান্ধী-কংগ্রেসের ডিমোক্রেসীকে অতিশয় বিশুদ্ধ বা পবিত্র করিয়া তুলিয়াছে। তথাপি সুভাষচন্দ্র দমিলেন না, তিনি একাই পথে পথে সকলকে ডাকিয়া ফিরিতে লাগিলেন; ক্রমে