পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৫
নেতাজী

অনৈসর্গিক ঘটনা না ঘটে, তবে ভিতরকার ঐ দ্বন্দ্ব-কলহ হইতেই গণ-পরিষদের পঞ্চপ্রাপ্তি অনিবার্য্য।···ঐরূপ গণ-পরিষৎ ভারতবর্ষের পক্ষে বড়ই বিপজ্জনক···কংগ্রেসের সর্ব্বনাশ হইবে।]

 আজ কি হইতেছে? সুভাষচন্দ্রের ভবিষ্যৎ-বাণী কি সত্য হইয়া উঠে নাই? “The Congress will land itself in disaster”—তাহার কি বাকি আছে? অদ্য তারিখে (২১।১১।৪৬) যে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে দেখা যাইতেছে, পণ্ডিতজীও আর পারিতেছেন না, যদিও গণ-পরিষৎ গঠন করা অসম্ভব হইয়াছে, তথাপি তিন একরূপ মোরিয়া হইয়া উঠিয়াছেন। এদিকে গান্ধীজী তাঁহার মস্তিষ্ক বিকৃতির চূড়ান্ত পরিচয় দিতেছেন—নোয়াখালির সেই শ্বাপদ-সঙ্কুল গহন অরণ্যে তিনি একাই অহিংসাব স্বর্গীয় শক্তি পরীক্ষা করিতে প্রবেশ করিয়াছেন।[১] এবার অবস্থা সাংঘাতিক, তিনিও হয়ত’ তাহা বুঝিয়াছেন, এখন ঐ ভাবে একটা কিছু করা ছাড়া আর কোন উপায় যে নাই! তিনি এখনও, একাই পৃথিবীতে সত্যযুগ আনিবার সংকল্প ত্যাগ করেন নাই—মানুষ যে তাঁহার ঐ ধর্ম্মমন্ত্রের প্রভাবে দেবতা হইয়া উঠিবে না, ইহা তিনি কিছুতেই স্বীকার করিবেন না। না করুন, তাঁহার ঐ ধর্ম্মোন্মাদ প্রসূত মস্তিষ্কবিকৃতির জন্য একটা জাতির কি

  1. নোয়াখালির কলঙ্ক বাঙালী হাসিমুখে ললাটে তিলকের মত ধারণ করিয়াছে— গান্ধীর দেবলীলা ও অহিংসার মাহাত্ম্য-কীর্ত্তন করিয়া সে তাহার অ-পৌরুষের সকল কালিমা মুছিয়া ফেলিয়াছে—সেখানকার নারী-শিশুকে সে ভালরূপেই উদ্ধার করিয়াছে।