পাতা:জয়শ্রী - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়শ্ৰী আমি একলা তাদের কবলে যেতে পারবো না । তোমার দুটি পায়ে পড়ি । দিদি, মাকে একটু বলে না, আমন ক’রে চোখ পাকিয়ে দাড়িয়ে কি মজা দেখছো । মহিষী তবে তাই হবে । তোর মা-ই তোকে দয়া করে নিজের হাতে বধ করবে। কিন্তু বিচারকর্তা তো আমি নই, সেনাপতি ফিরে এলে তোর বিচার হবে, তুই ততোদিন বন্দী ! ওরে কে আছিস, কারাধ্যক্ষকে ডাক্‌ ! ইন্দ্রায়ুধ ( হস্তে মুখ ঢাকিয়৷ ক্ৰন্দন করিতে করিতে ) মা, মা, আমায় মাপ করে, ক্ষমা করে । তুমিই তো বলেছে। আমি চিরপরাধীন, যুদ্ধে অনভ্যস্ত, মরণের সম্মুখীন হতে আমি শিখিনি,—সে কি আমার দোষ ? মহিষী না না, ক্ষমা নেই, ক্ষমা নেই। এ কলঙ্ক শুধু তোর নয়, এ কলঙ্ক আমার, তোর পিতৃপুরুষের, তোর দেশের ! এ বিষ রক্তে না ধুলে দেশ উচ্ছন্ন যাবে ; জড়ের মতন জীবন নিয়ে অপমানে লাঞ্ছনায় হাজার বার মরে’ও মনে স্বার বাচ বার সাধ, তাকে মেরেই শেখাতে হবে—যে-লোক মত্বতে জানে সেই বঁাচতে জানে, মৃত্যুকে স্বীকার করলেই বঁাচার স্বাদ পাওয়া যায়...... ૨૭