পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একত্ৰি প্ৰংশ পৰিৱচোিচ্ছন্দ অনেক সময়েই মন্দ হইতে ভাল হইয়া থাকে ; এই রাসমণি আমাকে ছোরা মারিতে উদ্যত না হইলে তাহার নিকটে যাহা জানিতে পারিলাম, তাহা আর "অন্য কোন উপায়ে জানিতে পারিবার উপায় ছিল না । আমি রাসমণিকে টানিয়া আনিয়া বেদিয়াদের ডেরায় ফেলিলাম ! তাহাকে এই অবস্থায় আনিতে দেখিয়া বেদিয়াদের আবালবৃদ্ধবনিতা আমাদের দিকে ছুটিয়া আসিল ; কিন্তু আমার হস্তে ছোরা ঝকিতেছে দেখিয়া কেহ বেশি নিকটে আসিতে সাহস করিল না । আমি কতকটা রাসমণিকে ভয় দেখাইবার জন্য-কতক অন্য কারণে একজন বীরকন্দাজকে ডাকিয়া তখনই একখানি পিএ দিয়া থানায় পাঠাইলাম ; বলিলাম, “যাও, এখনই এই পত্র থানায় দাও—আজ রাত্রেই যেন কলিকাতায় ফতে আলি দারোগার কাছে পৌছায় ।” সে “যে হুকুম, হুজুর” বলিয়া যাইতে উদ্যত হইল ; আমি বলিলাম, “ঘাটে আমার নৌকা আছে, তাহদের একজনকে একটা লিপ্তন লইয়া এখানে আসিতে বলিয়া যাইবে । আমার এখানকার কাজে সারিয়া নৌকায় যাইব ।” এই সকল ব্যাপারে বেদিয়ারা আমাকে পুলিসের লোক মনে করিল। আমিও কতকটা তাহাদের ভাবভঙ্গীতে বুঝাইয়া দিলাম। কুঞ্জও সকলকে বলিল, “ইনি পুলিসের লোক-সেই ডাকাতির সন্ধান করিতেছেন, লোচন, ভিকরাজ, আর এই রাসমণি ইহাকে একখানা নৌকায় আট্‌কাইয়া রাখে, রাসমণি এ সম্বন্ধে অনেক মিথ্যাকথা বলিয়াছে, আজ