পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਇ੧ C এই সময়ে হঁপাইতে হাঁপাইতে অমূল্য তথায় আসিয়া উপস্থিত হইল ; বলিল, “ধরিয়াছ ত ?” আমি কথা কহিলাম না, সে ব্যগ্ৰ হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ডাকাতটা ম’রে গেছে নাকি ?” আমি বলিলাম, “অমূল্য, এ পুরুষ নয়-স্ত্রীলোক !” “স্ত্রীলোক !” বলিয়া হয় মূল্য লম্ফ দিয়া উঠিয়া দাড়াইল । আমি বলিলাম, “দেখ ইহাকে-কি ভয়ানক আশ্চৰ্য্য ব্যাপার-এ যে স্বপ্নের অগোচর । ডাকাত-মনিয়া বাইজী ।” “কে-কে-মনিয়া বাঈজী ! সে কি ?” অমূল্য সত্বর ব্যগ্ৰভাবে অশ্বারোল্পীর মখ দেখিয়া অতিশয় বিস্মিতভাবে বলিল, “তাঈ ত—সত্যই ত হে-এ যে মনিয়া বাইজী !” আমাদের এ ব্যাপারে উভয়েরই বাগ রোধ হইয়া গেল ; কি বলিব, আমরা উভয়ের কেহই তাহা স্থির করিতে পারিলাম না । যে ডাকাতির জন্য বাঙ্গালাদেশ আলোডিত হইয়া উঠিয়াছিল, যে ডাকাতির জন্য পলিস ব্যতিব্যস্ত হইয়াছিল ; লোকে সন্ধা চাইলে গৃহের বাহির হইতে ভয় করিত, বড়লোকেরা সশঙ্ক হইয়া উঠিয়াছিলেন, সে ডাকাত একজন স্ত্রীলোক ! সে ডাকাত-বিখ্যাত বাইজী মনিয়া ! বঙ্গের ধনিসম্প্রদায় যাহার গানে নুতো, রূপে, হাব-ভাবে মুগ্ধ না হইয়া থাকিতে পাবিতেন না, যাহার নাম বাঙ্গালাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতার মুখা গ্রে, সেই সুপ্ৰসিদ্ধা বাইজী-মনিয়া, আবার সে-ই ডাকাত ।