পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

EFR P3sez ولا “অথচ আমরা কেহ কিছু জানিতে পারিলাম না।” “এই ডাকাত যে-ই হউক, এ যে খুব চালাক লোক, তাহাতে সন্দেহ माहे ।” “আজ রাত্রে আর ঘুম হইবে না,” বলিয়া আমার আত্মীয় নীলরতন বাবু শয়ন করিতে গেলেন। द्र রোত্রে ঘুম হইল কি না বলিতে পারি না ; কিন্তু আমার হইল না । এই ডাকাত আমার মস্তিষ্কের ভিতর প্রবেশ করিয়া ঘোর বিপ্লব উপস্থিত করাইয়াছিল। সমস্ত রাত্রের মধ্যে আমি ঘুমাইতে পারিলাম না-এই ডাকাত সম্বন্ধে ভাবিতে লাগিলাম। কত কি ভাবিলাম, সব মনে নাই , তবে ইহা স্থির করিলাম যে, যেমন করিয়া হউক, এই ডাকাতকে ধরিবই। ধরিব । আরও স্থির করিলাম যে, এ বাড়ীতে থাকিলে আমি তাহার কোন সন্ধানই করিতে পারিব না। মুর্শিদাবাদ সহরের প্রান্তভাগে একটা হোটেল ছিল, আমি সেই গোটেলে বাসা লওয়া স্থির করিলাম। হোটেলে অনেক বিদেশী লোক আসিয়া বাস করে ; তাহদের নিকটে এই ডাকাত সম্বন্ধে কোন সংবাদ পাইলেও পাইতে পারি। তাহার পর নীলরতন বাবুকে আমার ইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়া আমি হোটেলে আসিয়া বাসা লইলাম । চাকরীর চেষ্টায় সহরে আসিয়াছি, হোটেলওয়ালাকে তাহাই বলিলাম ; সে তাহাই বিশ্বাস করিল। আমি তথায় বাস করিতে লাগিলাম । হোটেলওয়াল৷ ব্ৰাহ্মণ ও তাহার দাসী ব্যতীত আর কেহ হোটেলে ছিল না , তবে চালে একখানা খাচা বুলিতেছিল ; দেখিলাম তাহার ভিতরে একটি। ময়না-ময়নাটা বেশ পড়ে । আমি যখন উপস্থিত হইলাম, তখন হোটেলে আর কেহই ছিল না । খরিদারের মধ্যে আমিই একা ।