পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰা বেয়ালিৎশ পৰিৱচেচ্ছদ আমার ঘুম হইল না, কেবল তাহার নাসিকা-গর্জনের জন্য নহে, আমার মাথাটাও গরম হইয়া গিয়াছিল। মাথায় একটু ঠাণ্ডা হাওয়া লাগাইবার জন্য আমি বাহিরের রাস্তায় বেড়াইতে বাহির হইলাম। তখন বেশ ফরাসী হইয়াছো-সুৰ্য্যোদয় হইতেছে সহসা পশ্চাতে একখানা পান্ধীর শব্দ শুনিয়া আমি ফিরিয়া দূরে গিয়া দাড়াইলাম। পাল্কীখানা আমার পাশ দিয চলিয়া গেল ; কিন্তু একটু দূরে দাড়াইল ; পান্ধীর দ্বার রুদ্ধ ছিল, তাঁহাই আমি ভাবিলাম যে, কোন স্ত্রীলোক পাল্কীতে যাইতেছেন ; কিন্তু পশন্ধীখানা সহসা দাড়াইল ; পরক্ষণে বেহােরারা পান্ধী মাটীতে নামাইল দেখিয়া আমি একটু বিস্মিত হাইলাম। একজন বেহােরা চুটিয়া আমার নিকটে আসিয়া বলিল, “আপনাকে ডাকিতেছেন।” আমি বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম.. “কে ?” বেহাৱা বলিল, “যিনি পাল্কীতে আছেন “” আমি অগ্রসর হুইলাম ; দেখিলাম, আরোহী পান্ধীর দরজা খুলিয়া হাত নাড়িয়া আমাকে ডাকিতেছেন । হাতখানি বলয়সংযুক্ত, সুতরাং যিনি ডাকিতেছেন, তিনি স্ত্রীলোক । হাতখানি যেমন কোমল, সুন্দর ও সুগঠিত, তাহাতে বলয়সংযুক্ত না হইলেও আমি সহজে বুঝিতে পারিতাম, যিনি ডাকিতেছেন। তিনি স্ত্রীলোক ও সুন্দর” । সুীলোক পান্ধী হইতে আমাকে ডাকিতেছে দেখিয়া আমি আরও আশ্চর্যান্বিত হইলাম ; ধীরে ধীরে পান্ধীর নিকটে আসিলাম। আশ্চৰ্যান্বিত হইয়া দেখিলাম-পান্ধীর ভিতরে মনিয়া বাইজী !