করাই তাহার গোপন অভিসন্ধি । ইন্দ, কিন্তু অমরনাথের বাড়ি হইতে ফিরিয়া একদিন কথাপ্রসঙ্গে রে-সাহেবকে বলিয়াছিল যে, সে রে-সাহেবের কথার সত্যতা অমরনাথের মধ্যে খাজিয়া পাইয়াছে। যে সভ্যতা মিথা জোেলসের প্রলেপ দিয়ে মোড়া, যে-সভ্যতায় অনাহারপিন্টের মাখের গ্রাস, শোক-তাপদগধ মানষের জীবন ধনীর মাঠোর মধ্যে এমন ভয়ানক নিরপোয় করে এনে দেয়, তাকে ধবংস করার ব্ৰত নিয়েই অমরনাথবাব, দবার গতিতে এগিয়ে চলেছেন । যদি তাই হয় দেশের মানষি মতপ্রায় সে সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে যাবে কিসের মোহে। মানষের কাল-ঘােম আজি ভেঙ্গেছে । বস্তাপচা সে-সভ্যতাকে ধবংস করার জন্য তারা সমহান যজ্ঞের আয়োজন করেছে, অমরনাথবাব তার পৌরহিত্য করার জন্য আত্মোৎসগ করেছেন। তাঁর জয় অনিবায । রে সাহেব বলিলেন। --মা আলো, অমরনাথ মানষে চিন৩ে জানে। বিদ্যা ও অভিজ্ঞ তার কল্টিপাথরে যাচাই করে ইন্দর মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছিল সে । পণ্টই বুঝেছিল, সে সহজেই দেশের ডাকে সাড়া দিতে পারবে। হাসিমখে আত্মোসগ করতে পারবে, অভিজ্ঞতা দিয়ে এ-সত্যটুকু উপলবিধ করতে পারবে বঝেই না। ইন্দিকে কাছে ডেকে নিয়েছে । তাকে নিজের সখে-দঃখের অংশীদার করতে উৎসাহিত হয়েছে । দেশের ডাক শনে যারা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে জানে, স্বেচ্ছায় দদুঃখ বরণ করতে পারবে তারাই ত সত্যিকারের সত্যগ্রহী, সত্যাশ্রয়ী। সে যদি সেই মনোভাব নিয়ে অমরনাথের হতে হাত মিলিয়ে থাকে, অমরনাথও যদি তাকে সাদরে বরণ করে থাকে। তবে ত এর মধ্যে কোন অপরাধ আমি দেখি নে মা আলো । আলেখ্য চোখ দটি কপালে তুলিয়া বিস্ময় প্রকাশ করিল-সে কী বাবা ! এর মধ্যে অমরনাথবাবার কোন অন্যায়ই দেখতে পােচ্ছ না ! একটা মেয়েকে তার অভিভাবকেব। বিনা অনািমতিতে তিনি ঘর থেকে বের করে নিয়ে গেলেন কোন অধিকার বলে ? যে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছে, তাকে তুমি আটকে রাখবে। কি করে আলো ? এসব তোমার নীতির কথা বাবা । এসব নাটক-নভেলে চলে । বাস্তবে প্রয়োগ করতে গেলেই অশাণিত তাহার মাখের কথা কাড়িয়া লইয়া রে-সাহেব বলিলেন-হাঁ মা। অশান্তি তুমি করতে পার ঠিকই । কিন্তু জেনে রেখো, তাতে মনের তিক্ততাই বাড়বে, অন্তজবালায় দশোধ মরতে হবে। কিন্তু উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না। কমলকিরণ এতক্ষণ কপালে হাত দিয়া নীরবে বসিয়াছিল। দাবিসহ যন্ত্রণায় অ্যাতনাদ করিয়া উঠিল—তাই বলে এতবড় একটা অন্যায়কে নীরবে হজম করতে বলছেন। কাকাবাব ! আমি কিন্তু শয়তানটাকে ছেড়ে কথা বলব না, উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব । ঘিলান হাসিয়া রে-সাহেব বলিলেন-সে চেস্টা তুমি করতে পার কমলকিরণ। yN,
পাতা:জাগরণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৪
অবয়ব