এমনি, বাহিরের জগতের কথা ভলাইয়া দেয়। সেই আকর্ষনে যারা নিজেকে আকণ্ঠ নিমজিত করিয়া তাহারই কমে সাফল্য লাভ করিতে পারে । কম নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও আদশহীনারা সমাজ-সংসারে জোয়ারের জলে খড়কুটার ন্যায়। ভাসিয়াই বেড়ায় । পায়ের তলায় মাটি খাজিয়া পাইতে পাইতে আয়, ফরাইয়া যায়। তাহদের আসাযাওয়ার মাঝখানের কয়েকটি বছর বাথা ব্যয় হইয়া গেল বলিয়াই প্ৰতিভাত হয় । আলেখ্য পোড় খাইয়া খাইয়াইতিমধ্যে নিজের মনকে অনেক শক্ত করিযাফেলিয়াছে। তাহার অন্তরের অন্তরস্থলে একটি চাপা কান্না গামড়াইয়া বেড়াইতেছে। ছাইচাপা। আগানের ফলেকির মত ভিতরে ভিতরে প্রতিনিয়ত জলিতেছে, কিন্তু তাহার বহিঃপ্রকাশ নাই । তাহার পিতা বয়সের ভারে অচল হইয়া পড়িয়াছেন । সর্বদা আরাম কেদারায় শরীর এলাইয়া দিয়া বিষন্ন মনে বসিয়া থাকেন। মাঝেমধ্যে বাহিরের নীল আকাশের দিকে চাহিয়া টুকরা টুকরা মেঘের আনাগোনা দেখিয়া সময় কাটাইয়া দেন। আর কখনও কখনও সমিতির পাতা উলটাইয়া অতীতের সািখ দুঃখের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগলিকে জোড়া দিয়া একটি পদ্ণাঙ্গ নাটক সন্টি করিবার ব্যর্থ প্রয়াস চালাইতে থাকেন। সমিতিশক্তি বিশ্ববাসঘাতকতা করে। টুকরা টুকর। কয়েকটি ঘটনা একত্রিত করিতে না করিতে তাহা হইতে দই-একটি সংগোপনে সরিয়া যায়, লকোচুরি করে । তাহার জীবন-নাট্য সন্টির বাঞ্ছতা অপােশই রহিয়া যায় । তাহার ভবিষ্যতের ভাবনা DD S DBBDD DBB DDDSDB DBBBB BBB BBD DDS DDD KLYEE সেই দায় হইতে রে-সাহেবকে অব্যাহতি দিযাছে। কিন্তু তিনি নিববিচ্ছিন্ন শান্তি-সখ উপভোগ করিতেছেন তাহা বলিলে সত্যের অপ্রলাপাই করা হইবে । মানষের জীবনে এমন কিছ, সময় আসে যখন সব কথা মািখ ফটিয়া বলা যায় না। আবার এমন কিছ: সত্য আছে যাহা কাহারো কাছে প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু মািখ বজিয়া হজম করিতেও কািট হয়, দম বন্ধ হইয়া আসে। বাল্যবন্ধ বিদ্যাসন্দর ভট্টাচায্যের বাড়ি হইতে তিনি সেইদিন যে অপমানের বোঝা মাথায় লইয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিয়াছিলেন তাহা কিন্তু শত চেন্টা করিয়াও মন হইতে ঝাঁড়িয়া ফেলিতে পারেন নাই। স্রোতস্বিনী নদী যখন পণ যৌবনের উম্মাদনা লইয়া অগ্রসর হয় তাহার রােপ সৌন্দর্যপিপাসকে মগধ করিলেও তাহার সমিতি দীঘস্থায়ী হয় না। কিন্তু “গ্ৰীনেমা' যখন সেই স্রোতস্বিনীই শাকাইয়া মজিয়া শীণকায় রূপ ধারণ করে, তাহার সেই শোচনীয় পরিনামের কথা কয়জন মন হইতে মাছিয়া ফেলিতে পারে ? তাহা ছাড়া বিশাল এই জগতে প্রতিনিয়ত কত নয়ন গাঙ্গালিই না জন্মগ্রহণ করিতেছে, মরিতেছেও অগণিত। কিন্তু একটিমাত্র নয়ন গাঙ্গলির মতু কেন এমন প্রকট হইয়া রে-সাহেবকে প্রতিনিয়ত রক্তচক্ষ দেখাইতেছে, শয়নে-স্বপনে, নিদ্রায়-জাগরণে তাঁহার বকের ভিতরে নিমমভাবে হাতুড়ি of BDBDBBELB BiDDDu DD BBBLuS Yz DDD DDD DD S SBD ফিরিয়া আসিয়াছে। আলেখ্য সোজা তাহার বাবার ঘরে ঢুকিল । STS
পাতা:জাগরণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৫
অবয়ব