৭-কাষ্ঠীহারি-জাতক। $ሞ পুরাকালে বারাণসী-রাজ ব্ৰহ্মদত্ত একদিন উদ্যানবিহারে গিয়াছিলেন। সেখানে তিনি ফলপুষ্পাদির আহরণের নিমিত্ত ইতস্ততঃ বিচরণ করিতেছেন, এমন দেখিতে পাইলেন, একটী রমণী গান করিতে, করিতে কাষ্ঠসংগ্ৰহ করিতেছে। ব্ৰহ্মদত্ত তাহার রূপে মুগ্ধ হইয়া তদণ্ডেই তাহাকে গান্ধৰ্ব্ববিধানে বিবাহ করিলেন। অনন্তর বোধিসত্ত্ব এই রমণীর গর্ভে প্ৰবেশ করিলেন। রমণীকে গর্ভবতী জানিয়া রাজা তাহার হস্তে স্বনামাঙ্কিত একটা অঙ্গুরী দিয়া বলিলেন, “যদি কন্যা প্রসব কর, তবে ইহা বিক্রয় করিয়া তাহার ভরণ পোষণ করিবে ; আর যদি পুত্র প্রসব কর, তবে তাহাকে এই অঙ্গুরিসহ আমার নিকট লইয়া যাইবে । রমণী যথাকালে বোধিসত্ত্বকে প্রসব করিল। বোধিসত্ত্ব যখন ছুটাছুটি করিতে শিখিয়া পাড়ার ছেলেদের সহিত খেলা আরম্ভ করিলেন, তখন অনেকে তঁহাকে “নিম্পিতৃক” বলিয়া উপহাস করিতে লাগিল। কেহ বলিত “দেখ, নিম্পিতৃক আমাকে মারিয়া গেল,” কেহ বলিত, “নিষ্পিতৃক আমাকে ধাক্কা দিল।” ইহাতৃে বোধিসত্ত্বের মনে দারুণ আঘাত লাগিল। তিনি একদিন জননীকে জিজ্ঞাসিলেন, “আমার বাবা কে, মা ? রমণী বলিল, “বাছা, তুমি রাজার ছেলে।” “আমি যে রাজার ছেলে তাহার প্রমাণ কি, মা ?” “বাছা, রাজা যখন আমায় ছাড়িয়া যান, তখন এই অঙ্গুরি দিয়া গিয়াছিলেন। ইহাতে র্তাহার নাম আছে। তিনি বলিয়াছিলেন, যদি কন্যা জন্মে, তবে ইহা বেচিয়া তাহার ভরণ পোষণ করিবে, আর যদি পুত্র জন্মে, তবে অঙ্গুরিসহ তাহাকে আমার নিকট লইয়া যাইবে।” “তবে তুমি আমাকে বাবার কাছে লইয়া যাওনা কেন ?” রমণী দেখিল, বালক পিতৃদর্শনের জন্য কৃতসঙ্কল্প হইয়াছে। সুতরাং সে তাহাকে লইয়া রাজভবনে উপনীত হইল এবং রাজাকে আপনাদের আগমনবার্তা জানাইল । অনন্তর রাজসকাশে যাইবার অনুমতি পাইয়া সে সিংহাসনপাশ্বে গিয়া প্ৰণিপাতপূর্বক বলিল, “মহারাজ, এই আপনার পুত্র।” সভার মধ্যে লজ্জা পাইতে হয় দেখিয়া, রাজা প্ৰকৃত বৃত্তান্ত জানিয়াও না জানার ভাণ করিলেন। তিনি বলিলেন “সে কি কথা ? এ আমার পুত্ৰ হইবে কেন ?” রমণী কহিল, “মহারাজ, এই দেখুন আপনার নামাঙ্কিত অঙ্গুরি। ইহা দেখিলেই বালক কে জানিতে পরিবেন।” রাজা এবারও বিস্ময়ের চিহ্ন দেখাইয়া বলিলেন, “এ অঙ্গুরি তা আমার নয়।” তখন রমণী নিরুপায় হইয়া বলিল, “এখন দেখিতেছি, একমাত্ৰ ধৰ্ম্ম ভিন্ন আমার আর কোন সাক্ষী নাই । অতএব আমি ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া বলিতেছি, যদি এ বালক প্রকৃতই আপনার পুত্র হয়, তবে যেন এ মধ্যাকাশে স্থির হইয়া থাকে, আর যদি আপনার পুত্র না হয়, তবে যেন ভূতলে পড়িয়া বিনষ্ট হয়।” ইহা বলিয়া সে দুই হাতে বোধিসত্ত্বের দুই পা ধরিল এবং তঁহাকে উদ্ধৃদিকে ছুড়িয়া দিল। বোধিসত্ত্ব মধ্যাকাশে উঠিয়া বীরাসনে উপবেশন করিলেন এবং মধুর স্বরে ধৰ্ম্মকথা বলিতে বলিতে এই গাথা পাঠ করিলেন ;- আমি তব পুত্ৰ, শুন মহারাজ, ধৰ্ম্মপত্নীগর্ভজাত ; ८°iषgeइ डछद्र লও হে আমার, এ মিনতি করি, তাত । कछ अड खe ङ:-c°° লভে নৃপতির ঠাই ; उँाश्iझ ऊनम्न যেই জন হয়, डांद्र ड कथाश् नांदे । আকাশস্থ বোধিসত্বের মুখে এই ধৰ্ম্ম-সঙ্গত বাক্য শুনিয়া রাজা বাহুবিস্তার পূর্বক বলিলেন, “এস, বৎস, এস ; এখন অবধি আমিই তোমার ভরণ পোষণ করিব।” তাহার দেখাদেখি
