३ étॉडदिकाँध्न ! এই হতভাগ্য দেশেই এই এক আশ্চৰ্য্য ব্যাপাৱ দেখিতে পাইবে, মানুষ এই ধর্মের নাম করিয়া মানুষে মানুষে এক নূতন ধরণের বৈষম্য স্থষ্টি করিয়াছে । আমাদের দেশে এই এক স্কৃষ্টি-ছাড়া কথা শুনিতে পাইবে, ব্রাহ্মণের পক্ষে যিনি বিশ্বদেৰ, মুসলমানের পক্ষে তিনি কেহই নহেন। মানুষের পূজার অধিকার সমান নহে । গোঁড়াতেই মানবাত্মারই জাতিভেদ স্বীকৃত হওয়াতে সমুজের জীবনে বহুসংখ্যক অদ্ভুত ভয়ঙ্কর অস্বাভাবিক ভেদের স্বাষ্ট হইয়াছে । ইহার শোচনীয় কুফল অমর প্রতিদিনই সৰ্ব্বত্র আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ করিতেছি। বৈষম্য মানবাত্মার ক্রমোন্নতির পথে বাধা দিমু{ আমাদের জাতীর জীবনকে পসু, শক্তিহীন ও শত শতাব্দীর নিদারুণ অপমানের তলে নিক্ষিপ্ত করিয়াছে । ভেদ বুদ্ধি, অহমিকা মানুষের সকল কুপ্রবৃত্তির সেরা, এই বৃত্তিটা আমাদের দেশে ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিয়াছে। তাহার ফলে মানুষকে কোন দুৰ্গতির তলে নামাইয়। দিয়াছে, তাছার দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে অপৰ্য্যাপ্ত, এই রূপ নান কারণে বাঙ্গালীর অধঃপতন হইয়াছে ও হইতেছে । হিন্দুরা মুসলমানকে কুকুর অপেক্ষা অধিক ঘৃণা করিয়া থাকেন, কি জন্য যে ঘৃণা করেন, তাহার কারণ ত আমরা কিছুই দেখিতে পাই না। হিন্দুরা বলেন, মুসলমানগণ গোমাংস খায়ু বলিয়। আমরা মুসলমানদিগকে ঘৃণা করিয়া থাকি। মুসলমান যদিও গোমাংস খায়, কিন্তু তাহার সিদ্ধ করিয়া ও তাহাতে মসলাদি দিয়া রন্ধন করিয়া খায়। কিন্তু কুকুর মরাগরু, পচামড়া, বিষ্ঠ ইত্যাদি খায়, فادحة পৃথিবীতে এমন খাটা হিন্দু ভদ্রলোক আছেন, যাহার কুকুরকে গুরু
পাতা:জাতিবিচার - সেখ গিয়াসুদ্দীন আহম্মদ.pdf/১০
অবয়ব