দেবতার দীপ হস্তে যে আসিল ভবে
সেই রুদ্র দূতে, বলো, কোন্ রাজা কবে
পারে শাস্তি দিতে? বন্ধন শৃঙ্খল তার
চরণ বন্দনা করি’ করে নমস্কার—
কারাগার করে অভ্যর্থনা। রুষ্ট রাহু
বিধাতার সূর্যপানে বাড়াইয়া বাহু
আপনি বিলুপ্ত হয় মুহূর্তেক পরে
ছায়ার মতন।......
যিনি নানা কণ্ঠে কন্ নানা ইতিহাসে,
সকল মহৎ কর্মে পরম প্রয়াসে,
সকল চরম লাভে, “দুঃখ কিছু নয়,
ক্ষত মিথ্যা, ক্ষতি মিথ্যা, মিথ্যা সর্ব ভয়;
কোথা মিথ্যা রাজা, কোথা রাজদণ্ড তার,
কোথা মৃত্যু, অন্যায়ের কোথা অত্যাচার।
ওরে ভীরু, ওরে মূঢ়, তোলো তোলো শির,
আমি আছি, তুমি আছ, সত্য আছে স্থির।”
১৯০৮ সালে পাবনায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সের যে অধিবেশন হয়, রবীন্দ্রনাথ তাহাতে সভাপতি নির্বাচিত হন। নরমপন্থী ও চরমপন্থী দলের মধ্যে একটা মিলন প্রয়াসের নিদর্শনস্বরূপই রবীন্দ্রনাথকে এই অধিবেশনের সভাপতি করা হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথও ঐভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াই সভাপতিত্ব