বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় সাহিত্যের ভবিষ্যৎ

হইবে। বঙ্গসাহিত্যের একনিষ্ঠ সাধকগণকে উদাত্ত কণ্ঠে গাহিতে হইবে—

“কে বলিল পুনঃ পাবে না তায়?
হারানো মাণিক পাওয়া কি না যায়?
হয়, যায়, আসে মায়ার ভবে,
রাহুগ্রস্ত ছায়া ক’দিন রবে?
এ জগত-মাঝে করো না ভয়,
সাহস যাহার তাহারি জয়;
দেখো না, দেখো না, দেখো না পাছে,
আগে দেখ আর কত দূর আছে;
ঐ দেখ দূরে ভারতী-মন্দিরে সরস্বতী
উড়িছে নিশান ভারত-তিমিরে,—
করহ সাধনা,—পাইবে ফিরে॥”

—হেমচন্দ্র[১]

 একদিন যেমন বৈদিক সাহিত্য শিক্ষিত ভারতবাসীর আত্ম-সাহিত্য ছিল, আজ বঙ্গসাহিত্যকে সেইরূপ সমগ্র ভারতের আত্ম-সাহিত্য করিতে হইবে। জানি, এ কথায় হঠাৎ আস্থা স্থাপন করা বড়ই দুষ্কর;—স্বীকার করি, কথায় যাহা, বলা যায়, কার্য্যে তাহা পরিণত করা সর্ব্বদা সম্ভবপর নহে, কিন্তু চেষ্টায় ত দোষ নাই। মানুষের সামর্থ্য যে কত,