বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় সাহিত্যের ভবিষ্যৎ

সকল প্রদেশেরই এক একটি নিজস্ব ভাষা আছে এবং তাহা অতি প্রাচীন। সেই সমস্ত প্রদেশের অনেক অমর কবি, অনেক নিপুণ লেখক সেই সেই ভাষায় কত সুমধুর কাব্য, কত সুমধুর কথাগ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন, এখনও লিখিতেছেন,—তাহার ইয়ত্তা নাই। সেই সেই দেশের অধিবাসীরা ত‍ৎ তৎ মহাকবির কাব্যামৃত-পানে কৃতার্থ হইয়াছে। ধরুন—যেমন কৃত্তিবাস বা চণ্ডীদাস, মাইকেল মধুসূদন বা হেমচন্দ্র, বঙ্কিম বা দীনবন্ধু[১]। কে এমন বাঙ্গালী আছেন, যিনি ঐ সকল মহাকবির কাব্য পাঠ করিয়া, নিজে ঐ সকল কবির স্বজাতি বলিয়া শ্লাঘা অনুভব না করেন? বাঙ্গালার এমন কোন্ শিক্ষিত ব্যক্তির গৃহ আছে, যেখানে ঐ সকল কবির কোন-না-কোন গ্রন্থ গৃহের শোভাবর্দ্ধন না করিতেছে? ঐ প্রকার ভারতের অন্যান্য প্রদেশের কথাও ভাবুন। প্রত্যেক প্রদেশেই তাহার “নিজস্ব” বলিয়া কিছু-না-কিছু আছেই। ইংরাজী ভাষা আমাদের দেশে এখনও নৃতন, এখনও ত্রিশকোটী[২] ভারতবাসীর মধ্যে অতি অল্প কয়েকজন মাত্র ইংরাজী ভাষার অনুশীলন করেন। যাহাদিগকে লইয়া ভারতবর্ষ, যাহাদিগকে বাদ দিলে ভারতবর্ষের অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া দুর্ঘট, সেই সাধারণ জন-সমাজ এখনও ইংরাজীর অনুশীলনে প্রবৃত্ত হয় নাই। আমার মনে হয়, তাহাদিগকে—সেই বিপুল জনসঙ্ঘকে—সাহিত্যের