পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামাকুরা ও নিক্কো BvGot T সকালটা মেঘ করে আছে এবং অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে। উবুও আমরা সমুদ্রের তীরে 'কামাকুরী নামে একটা জায়গা দেখবার জন্যে বার হলাম। মিঃ মজুমদার আমাদের সব দেখাবেন ব্যবস্তা ছিল, তিনি পথের মাঝে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন। ইলেকটিক ট্রেনে যেতে হয়। কামাকুরা পৌঁছতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লাগল। একটা ফিটান গাড়ি ভাড়া করে সেখানে যে বুদ্ধদেবের প্রকাণ্ড মূৰ্ত্তি আছে, প্রথমে তাই দেখতে গেলাম। নারাতে যে মূৰ্ত্তি দেখেছিলাম, এটা তারই মত বড়। মূৰ্ত্তিটা ব্ৰঞ্জের এবং ভিতরটা ফাঁপা। সেই ফাঁপা জায়গায় আবার দুই তিনটা বুদ্ধের ছােটাে ছােটাে মূৰ্ত্তি রাখা হয়েছে। দেখলাম। সেখানে অনেক জাপানি তীৰ্থ করতে এসেছে। বুদ্ধের বড় মূৰ্ত্তির ভিতরে ছোট মূৰ্ত্তিগুলো রাখা ভাল হয়নি। এতে মূৰ্ত্তিকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হয় না। মন্দির থেকে কাছের একটা হোটেল দেখে, আমরা সমুদ্রের ধারটা দেখতে গেলাম। এখন আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। আমরা জুতা-মোজা খুলে জলে পা ডুবিয়ে অনেকক্ষণ বেড়ালাম। আমার স্বামী ত মিঃ মজুমদারের সঙ্গে দৌড়ের রেস আরম্ভ করলেন। সুন্দর জায়গা! এখানে সমুদ্র-স্নানের জন্যে ঘরও আছে। অনেকক্ষণ বেড়িয়ে আমরা হোটেলে এসে লাঞ্চল খেয়ে একটু বিশ্রাম করলাম। কামাকুরা থেকে একটু দূরে এনােসিম নামে একটা দ্বীপ আছে। সেটা দেখতে যাবার জন্যে আমরা এখন প্ৰস্তুত হলাম। ট্রামের রাস্ত আধ ঘণ্টা সময় লাগল। যখন ট্রাম থেকে নােমলাম তখন বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই একটা টি-হাউসে বসে