পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনে বন্ধনী vë তাই প্ৰয়েন। এ পোষাক পরে ডিল করলে বেশ চাটুপট দেখায়। মেয়েমের ২০২২ বৎসর বয়সের আগে বিবাহ হয় না। সে জ্যষ্ঠ ওরা ২৪, ২২ রাৎসর বয়সের পূর্বে শিক্ষা সমাপ্ত করে না । । এই জাপানি বালিকাদের দেখে আমাদের সুদূর ভারতবর্ষের সেই ছোট ময়লা বালিকা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে সেই ছোট ছোট রোগ শিশুগুলির কথা মনে হয়ে দেশের জন্য বড় কষ্ট হতে লাগল। আরও কত দিনে আমাদের দেশের লোক নারী-শিক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করবে ? কবে এমনি একাগ্র চিত্তে নারীদের শিক্ষা দিবে ? এই সুস্থ সবল জাপানি বালিকারাই একদিন জাপানের মাতা হবে । জাপানির তা উপলব্ধি করে তাদের কন্যাদের সেই মাতৃ-স্থান পূর্ণ করবার যোগ্য করে তুলছে। জাপানিরা কি সহজে আজি জগতে এত বড় স্থান অধিকার করেছে ? এদের শিক্ষার কি গুণ । খালিকাগুলির মুখে কেমন প্রফুল্ল ভাব! আর তার সঙ্গে তাদের মুখে জ্ঞানের আলো যেন ফুটে পড়ছে মনে হয়। শিক্ষয়িত্রী এবং বালিকাগুলি আমাদের সম্মুখে অতি সুন্দর ভাবে ড্রিল ব্যায়াম করে দেখালেন। বিজ্ঞানের ল্যাবোরেটারির ঘরটা আমরা দেখলাম। এই হাই-স্কুলের লেবেরেটরির মত আমাদের দেশের অনেক কলেজেও লেবােরেটারি নাই, স্কুল তা দূরের কথা। এখান থেকে তাদের গান বাজনা শ্লেখবার ঘরে গেলাম। এক ঘর মেয়ে গান শিক্ষা করছে। এৰজন জাপানি পুরুষ পিয়ানাে বাজাচ্ছিল ও মেয়েরা বেঞ্চে বসে গুনি শিক্ষা করছে। স্কুলে সে সব গান শেখায় তার ভাষা জাপানি বটে, কিন্তু সুর ইমাজি ‘হিমের” (ধৰ্ম্ম সঙ্গীতের) অনুকরণ। আমি আগেই উল্লেখ করছি যে জাপানির সঙ্গীত-চৰ্চায় এখনও পশ্চাৎপদ আছে; তাদের দ্বিতীয় সঙ্গীত জিনিসটার অভাব আছে মনে হয়। সে জন্যই হয় তা জ্ঞার