তার কারণ এই যে, জাপানি পাঠকের চেহারা দেখার মানসিক শক্তিটা প্রবল।
এইখানে একটা কবিতার নমুনা দিই, যেটা চোখে দেখার চেয়ে বড়:―
স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য হচ্ছে ফুল, দেবতারা এবং বুদ্ধ হচ্চেন ফুল―
মানুষের হৃদয় হচ্চে ফুলের অন্তরাত্মা।
আমার মনে হয়, এই কবিতাটিতে জাপানের সঙ্গে ভারতবর্ষের মিল হয়েছে। জাপান স্বর্গমর্ত্ত্যকে বিকশিত ফুলের মত সুন্দর করে দেখ্চে-ভারতবর্ষ বল্চে, এই যে একবৃন্তে দুই ফুল,―স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য, দেবতা এবং বুদ্ধ,―মানুষের হৃদয় যদি না থাকত, তবে এ ফুল কেবলমাত্র বাইরের জিনিস হত;―এই সুন্দরের সৌন্দর্য্যটিই হচ্ছে মানুষের হৃদয়ের মধ্যে।
যাই হোক, এই কবিতাগুলির মধ্যে কেবল যে বাক্সংযম তা নয়―এর মধ্যে ভাবের সংযম। এই ভাবের সংযমকে হৃদয়ের চাঞ্চল্য কোথাও ক্ষুদ্ধ কর্চে না। আমাদের মনে হয়, এইটেতে জাপানের একটা গভীর পরিচয় আছে। এক কথায় বল্তে গেলে, এ’কে বলা যেতে পারে হৃদয়ের মিতব্যয়িতা।
মানুষের একটা ইন্দ্রিয়শক্তিকে খর্ব্ব করে আর-একটাকে বাড়ানো চলে, এ আমরা দেখেচি। সৌন্দর্য্যবোধ এবং হৃদয়াবেগ, এ দুটোই হৃদয়বৃত্তি। আবেগের বোধ এবং প্রকাশকে খর্ব্ব করে, সৌন্দর্য্যের বোধ এবং প্রকাশকে প্রভূত পরিমাণে